সংক্ষিপ্ত

অনেক সময় সারাদিনের ক্লান্তির পর ঘুম সম্ভব হয় না। ঘুম না হওয়ার এই সমস্যাকে স্লিপ ডিসঅর্ডার বলা হয়। আশ্চর্যের বিষয় হল এই সমস্যা শুধু বয়স্কদের নয়, শিশুদেরও হতে পারে। ঘুমের ব্যাধি অনিদ্রা, বিরক্তি, রাগ, খাবার ঠিকমতো হজম করতে না পারা, পেটের সমস্যা ডেকে আনতে পারে। 

না ঘুমানোর সমস্যাকে ঘুমের সমস্যা বলা হয়। এই সমস্যাটি শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে নয়, শিশুদের মধ্যেও ঘটতে পারে। কম ঘুমালে শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধিতে প্রভাব পড়তে পারে। এখানে আমরা আপনাকে শিশুদের মধ্যে দেখা লক্ষণগুলি সম্পর্কে বলব।

কম ঘুম বা ঘুমের সমস্যায় শিশুদের মধ্যে এই লক্ষণগুলি দেখা যায়

অনেক সময় সারাদিনের ক্লান্তির পর ঘুম সম্ভব হয় না। ঘুম না হওয়ার এই সমস্যাকে স্লিপ ডিসঅর্ডার বলা হয়। আশ্চর্যের বিষয় হল এই সমস্যা শুধু বয়স্কদের নয়, শিশুদেরও হতে পারে। ঘুমের ব্যাধি অনিদ্রা, বিরক্তি, রাগ, খাবার ঠিকমতো হজম করতে না পারা, পেটের সমস্যা ডেকে আনতে পারে। এখানে আমরা আপনাকে বলে রাখি যে শিশুদের এই সমস্যার লক্ষণগুলি কিছুটা আলাদা হতে পারে। এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে, আমরা আপনাকে এই সম্পর্কে বলব।

এই লক্ষণগুলি শিশুদের মধ্যে দেখা যেতে পারে

যদি শিশু রাতে ঘুম থেকে বারবার জেগে ওঠে বা আবার ঘুমিয়ে পড়তে সমস্যা হয়, তাহলে তার ঘুমের ব্যাধির সমস্যা হতে পারে।

এমনকি যদি শিশু দিনের বেলায় ১০-১৫ মিনিটের মধ্যে গভীর ঘুমে চলে যায়, তবে এটিও ঘুমের ব্যাধির লক্ষণ হতে পারে।

এ ছাড়া শিশুর ছোটখাটো বিষয়ে বিরক্তি ও রাগ।

শিশুকে খেলার পরিবর্তে চুপচাপ বসে থাকতে দেখা যায়। 

এই কারণ হতে পারে
ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: মরসুম বদলালে অসুস্থতা বা পেট সংক্রান্ত সমস্যার কারণে অভিভাবকরা শিশুদের ওষুধ দেওয়া শুরু করেন। ভারী ডোজের কারণে শিশুরাও কম ঘুমায়।

পারিপার্শ্বিক পরিবেশ: এর জন্য আমাদের চারপাশের পরিবেশও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কখনও কখনও আশেপাশের পরিবেশ খুব কোলাহলপূর্ণ, গরম এবং ঠান্ডা হয়। এ কারণেও শিশুর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। তাই শিশুদের ঘুম পাড়ানোর সময় বিশেষ খেয়াল রাখুন যেন আশেপাশের পরিবেশ শান্ত থাকে।

ক্যাফেইন: শিশুরা প্রায়ই সফট ড্রিংকস পান করে। এনার্জি ড্রিংকস এবং সোডা ড্রিংকসে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ক্যাফেইন পাওয়া যায়। ছোট বাচ্চাদের ঘুম না আসার অন্যতম কারণ ক্যাফেইন সেবনও।

বাচ্চাদের কতটা ঘুমানো উচিত?
শিশুদের ভালো শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিশু কতক্ষণ ঘুমায় তাও তার বয়সের ওপর নির্ভর করে। এক বছর পর্যন্ত শিশুরা ১২-১৪ ঘন্টা ঘুমোয়। ৩-৫ বছর বয়সী শিশুরা ১০-১২ ঘন্টা ঘুমায় এবং ৬-১২ বছর বয়সীরা ৯-১১ ঘন্টা ঘুমোয়। তাই একই সময়ে, ১৩-১৬ বছর বয়সীরা ১০ ঘন্টা ঘুমোতে পারে। তাই শিশুদের ঘুমানোর সময়টাও মাথায় রাখুন।

আরও পড়ুন- স্ট্রেসের সমস্যা সমাধানে ম্যাসাজ করুন এই চারটি তেল দিয়ে, জেনে নিন কী কী

আরও পড়ুন- ওজন কমাতে নিজেই বানাচ্ছেন ডায়েট প্ল্যান? দেখে নিন এই পাঁচটি ভুল করছেন না তো?

আরও পড়ুন- পালিত হচ্ছে বিশ্ব হাসি দিবস, জেনে নিন শারীরিক ও মানিসক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে হাসির ভূমিকা