সংক্ষিপ্ত

  • করোনা ভাইরাস নেই শরীরে
  • তবুও এই প্রভাবগুলো পড়েছে
  • বদলে গিয়েছে জীবন-যাপন
  • করোনার প্রভাবে পরিবর্তন ঘটেছে অভ্যাসের

করোনার জেরে সারা বিশ্ব জুড়ে সতর্কতা তুঙ্গে। করোনার প্রকোপ ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে একাধিক উদ্যোগ। একের পর এক জায়গা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে জমায়েত ঠেকাতে। এমনই পরিস্থিতিতে করোনার প্রভাব পড়ছে প্রতিটি মানুষেরই মধ্যে। যাঁদের শরীরে উপসর্গ দেখা দিচ্ছে তাঁরা যেমন আইসোলেশনে যাচ্ছেন, তাঁদের ওপর রাখা হচ্ছে করা নজর, তেমনই যাঁরা এখনও রোগমুক্ত তাঁদের মধ্যে দেখা গিয়েছে বেশ কিছু পরিবর্তন। 

আরও পড়ুন: কোন ব্লাড গ্রুপে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি, গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

বিষয়টা খানিকটা এমন, করোনা ভাউরাসের ভয়ে কাবু প্রতিটা সাধারণ মানুষ। প্রত্যেকেই নিজেকে যথা সাধ্য সুরক্ষিত রাখার চেষ্টা করছেন। যার ফলে বেশ কিছু পরিবর্তণ লক্ষ্য করা গিয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হল-

আরও পড়ুন: খাদ্য রসিকদের জন্য দুসংবাদ, করোনা আতঙ্কে এবার বন্ধ দেশের সমস্ত রেস্তোরাঁ

১. বারে বারে হাত ধোয়ার অভ্যাসের ফলে অন্যান্য জিবাণু শরীরে প্রবেশেরে হার অনেক অংশে কমেছে। 
২. রাস্তায় খাবার খাবার প্রবণতা কমেছে মানুষের মধ্যে। বাড়িতে রান্নার ওপর অনেকবেশি ভরসা রাখছেন সকলে। 
৩. অযথা রাস্তায় বেরনো বন্ধ করে দিয়েছে সাধারণ মানুষ। কাজের ব্যস্ততার মধ্যেই যত তারাতারি সম্ভব বাড়ি ফিরছেন সকলে। 
৪. অতিরিক্ত খরচ কমেছে মানুষের। বন্ধ রেস্তোরা, সিনেমাহল, বন্ধ ভ্রমণের স্থানগুলিও। ফলে অনেক অংশে কমে গিয়েছে খরচ। 
৫. পরিবার মুখো হয়েছেন বহু মানুষ। কাজের ব্যস্ততার জন্য যাঁরা একই সঙ্গে সময় কাটাতে পারতেন না, তাঁরাই আজ ঘরবন্দি হয়ে একই সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। 


৬. শরীর সম্পর্কে সচেতনতা বেড়ে গিয়েছে সকলের। সামান্য ঠাণ্ডা লাগা থেকেও বিরত থাকতে চান সকলেই। তাই শরীরের যত্ন নেওয়া বেড়ে গিয়েছে। 
৭. আপনজনের খেয়াল রাখা, সতর্ক করা, ফোনে ফোনে পরিবারের সকলের খোঁজ নেওয়া, সব দিকে নজর দেওয়ার প্রবণতাও বেড়েছে। 
৮. পথ চলতি মানুষের মধ্যে বেড়েছে সাবধানতা। সকলেই সাবধান থাকছেন পথে ঘাটে। মুখে ঢাকা দিয়ে বেড়চ্ছেন। যার ফলে শরীরে দুষণের মাত্রাও অনেক কম প্রভাব ফেলছে। 
৯. পয়সার বিনিময় জিম নয়। বন্ধ জিম, ফলে বাড়িতেই শরীরচর্চা করছেন সকলেই।