সংক্ষিপ্ত
- চোখ লালচে হয়ে যাওয়া করোনার নতুন লক্ষণ
- ১০০ জনের পিঙ্ক আই হলে তা ১৮ জনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে
- চোখে ড্রপ দেওয়ার আগে অবশ্যই মনে করে হাত ধুয়ে নিতে হবে
- কন্ট্যাক্ট লেন্সের বদলে আপাতত চশমা পরে থাকাই ভাল, এতে চোখ খানিক বেশি নিরাপদ থাকবে
সারা দেশজুড়ে করোনা আতঙ্কে নাজেহাল বিশ্ববাসী। যত দিন যাচ্ছে করোনার নিত্যনতুন উপসর্গ প্রকাশ্যে আসছে। যা নিয়েই সমস্যা ক্রমশ বাড়ছে। গবেষকদের দাবি, করোনা ভাইরাস এবার হানা দিতে পারে চোখেও। ব্যাকটিরিয়ার সংক্রমণে চোখ লালচে হয়ে যাওয়া এই ঘটনা হামেশাই ঘটছে। তবে এই উপসর্গই এখন করোনার নতুন লক্ষণ। তবে শুধুমাত্র চোখ লালচে হওয়া মানেই করোনা হয়েছে তেমনটা ভাবার কিছু নেই। গবেষকদের মতে, জ্বর, গলাব্যথা, শুকনো কাশি, শ্বাসকষ্ট হলেও তবেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা রয়েছে।
আরও পড়ুন-ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে গিয়ে শরীরের ক্ষতি করছেন না তো, তাহলেই বড় বিপদ...
চোখ লালচে হওয়াকে পিঙ্ক আই বলা হয়। আসলে পিঙ্ক আই হল চোখে ব্যকটিরিয়া বা ভাইরাস সংক্রমণ হলে যে কনজাংটিভাইটিস হয় তাকেই বলে পিঙ্ক আই। এটি অনেকেরেই হয়ে থাকে। বিশেষত ঠান্ডা লাগলে এটি বেশি হয়। এই সময়টাতে এটি বেশি করে হয়। যাদের অ্যালার্জি থাকে তাদেরও এই সমস্যা হয়। কনজাংটিভাইটিস হলে সবসময়েই চুলকানি ভাব থাকে তাই চোখ লাল হয়ে যায়। তবে এটিকে অনেকে ছোঁয়াচে বলে থাকেন। কিন্তু গবেষকরা বলছেন শুধু পিঙ্ক আই থাকলে অত চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু করোনার উপসর্গ থাকলেই তা চিন্তার বিষয়। সাধারণত এক সপ্তাহের মধ্যেই এটি সেরে যায়। ইনফেকশন ছড়িয়ে গেলে তা সারতে আরও বেশি সময় লাগে।
আরও পড়ুন-লকডাউনে ত্বকের সমস্যা, যাবতীয় সমাধান রয়েছে অবর্থ্য এই টোটকায়...
করোনায় আক্রান্ত অনেকের মধ্যেই এই পিঙ্ক আই দেখা গেছে। তবে সকলেরই যে হয়েছে তা নয়। করোনা রোগীর চোখে যদি সংক্রমণ হয়, তাহলে চোখের জলের মধ্যে জীবাণু থাকতে পারে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, কয়েকজনের চোখের জলেই এই জীবানু পাওয়া গেছে। অর্থাৎ ১০০ জনের পিঙ্ক আই হলে তা ১৮ জনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর এই রোগ যাতে না ছড়ায় তাই বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
অ্যালকোহল বেসড হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে বার বার হাত ধুতে হবে।
চোখে ড্রপ দেওয়ার আগে অবশ্যই মনে করে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
হাত না ধুয়ে নাকে-মুখে তো নয়ই, চোখেও হাত দেওয়া যাবে না। চোখে-মুখে হাত দিলে আবারও হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
যারা সারাদিন-রাত মোবাইল বা কম্পিউটারে কাজ করছেন তাদের বেশিরভাগেরই ড্রাই আই সিনড্রোম দেখা যায়। অন্যান্য উপসর্গের মতোনই চোখে অস্বস্তি হয়, চোখ চুলকায়। এই সমস্যা সামলাতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই জরুরি।
কন্ট্যাক্ট লেন্স থেকে করোনার আশঙ্কা বাড়ে বলে জানা যায়নি। তবে যারা কন্ট্যাক্ট লেন্স পরেন তারা আর পাঁচ জনের তুলনায় চোখে অনেক বেশি হাত দেন । এই সময়টাতে কন্ট্যাক্ট লেন্সের বদলে আপাতত চশমা পরে থাকাই ভাল, এতে চোখ খানিক বেশি নিরাপদ থাকবে।