সংক্ষিপ্ত
- ২৪ মার্চ মধ্য রাত থেকেই দেশ জুড়ে শুরু হল লকডাউন
- চিরাচরিত অভ্যস্থ জন জীবন স্তব্ধ হয়ে গেল কয়েক মুহূর্তে
- জন জীবন এভাবেও থমকে যেতে
- এই পরিস্থিতিতে কীভাবে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে কল্পনাও করতে পারছি না
করোনা আতঙ্কে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২৪ মার্চ মধ্য রাত থেকেই দেশ জুড়ে শুরু হল লকডাউন। চিরাচরিত অভ্যস্থ জন জীবন স্তব্ধ হয়ে গেল কয়েক মুহূর্তের মধ্যে। এর জন্য কেউই প্রস্তুত ছিল না। হঠাৎ করে এক ক্ষুদ্র ভাইরাসের হানার জন জীবন এভাবেও থমকে যেতে পারে তা বোধ হয় কল্পনাও করতে পারেননি কেউ। এখনও এই পরিস্থিতে অনেকেই দোকান থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে আতঙ্কিত। তবে যারা অসহায়, দুঃস্থ বা আমাদের আশে পাশেই রাস্তায় থাকা প্রাণীরা এই পরিস্থিতিতে কীভাবে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে তা হয়তো আমরা কল্পনাও করতে পারছি না।
আরও পড়ুন- ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতে গিয়ে শরীরের ক্ষতি করছেন না তো, তাহলেই বড় বিপদ
বেঙ্গালুরুর অত্যন্ত জনপ্রিয় বাঙ্গালি রেস্তোরাঁ দেবস গুগাবাবা রাস্তার কুকুর ও গরুদের পরিস্থিতিতে খাওয়ানো শুরু করেন। এই কাজ তিনি অনেকদিন ধরেই করে আসছেন। লকডাউনেও তা থেমে থাকেনি, চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি অনেক জটিল হয়ে ওঠে। লকডাউনে আটকে পরা বেশ কিছু মানুষেরও ক্ষিদে মেটানোটা একটা কঠিন লড়াইয়ের মত হয়ে ওঠে।
সেই সময় সিদ্ধার্থ দেব এবং অর্নিবাণ দে, বিকাশজিৎ সাহু, সিদ্ধার্থ রায়, সিদ্ধার্থ মন্ডল, সুভজিৎ দিয়াসি এই মানুষগুলোর কঠিন পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। তাঁরা লকডাউন চলাকালীন প্রতিদিনের খাবার, মুদি, ওষুধ এবং সমস্ত প্রয়োজনীয় জিনিসের জোগান চালিয়ে গিয়েছে। শুরুটা হয়েছিল এভাবেই। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এর তালিকা। এর পর ক্রমশ বৃদ্ধি পায় এর পরিসর। ধীরে ধীরে ব্যাঙ্গালুরুর এই দল সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় বহু অনাথ আশ্রম ও বৃদ্ধাশ্রমের দিকেও। এখন পর্যন্ত তাঁরা কিছু কিছু আর্থিক সহায়তা পেয়ে ৬০০০ এরও বেশি মানুষের এই কঠিন পরিস্থিতিতে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন- মিউচুয়াল ফান্ড রক্ষা করতে ৫০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ স্কিম আরবিআই-এর
বেঙ্গালুরুর এই দলের নতুন কিছু সদস্য অভিজিৎ মজুমদার, বিনয় চৌধুরী, অনিন্দিতা চৌধুরী, সান্তুনু জানা, মধু রেড্ডি, অনিন্দ্য, পারমিতা, দেবাশীষ, অঞ্জণা সিদ্ধান্ত নেন সকলে মিলে একটি ফরমাল হেল্প পেজ তৈরি করার। যাতে দেশের এমন কঠিন পরিস্থিতিতে এই অসহায় মানুষগুলোর পাশে সবাই দাঁড়াতে পারে। সিদ্ধান্ত মত তৈরি হয় ফেসবুক পেজ নাম "কোভিড জিনি"। এই পেজটি তৈরি করা হয় সেই মানুষদের জন্য যারা
এই সব অসহায় মানুষগুলোর থেকে একটু হলেও ভালো আছেন। যাঁরা চাইলেই এই অসহায় মানুষগুলোকে সামান্য কিছু অর্থ দিয়ে সাহায্য করতে পারেন। আপনার দেওয়া মাত্র দশ টাকার বিনিময়ে একজন মানুষ এক প্যাকেট বিস্কুট খেতে পারবেন। এই পরিস্থিতিতে যা আপনার পক্ষে সম্ভব তা ওঁরা কল্পনাও করতে পারছেন না। তাই কিছু আর্থিক সাহায্যের জন্যই এই বেঙ্গালুরুর এই কোভিড জিনি ২০০০ পেজ লাইক নিয়ে নিজেদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ওই অসহায় মানুষগুলোকে সাহায্য করার জন্য।
কোভিড জিনির মতে, "অপরকে সাহায্য করে কেউ কখনও দরিদ্র হয়ে যায় নি। তাই এই কঠিন পরিস্থিতিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন। আপনার দেওয়া ১০ টাকা একজন ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে অনেক। এই কঠিন পরিস্থিতি আমরা খুব শীঘ্রই কাটিয়ে উঠবো।"
হোয়াট্সঅ্যাপ চ্যাট:- https://chat.whatsapp.com/HUL0oDrLDb8BTwyZIT5q6G
ফেসবুক ডিটেইলস- https://www.facebook.com/pages/category/Social-Service/Covid-Genie-106680457662691/
সিদ্ধার্থ গুগাবাবা- ৯১৭৬৭৬৪১৩৪১৬
সিদ্ধার্থ- ৯১৯৮৮৬২৩৬৭৪২
অনির্বাণ - ৯১৯৬০৬২৭৩৫৩৬
বিকাশ- ৯১৭৪১১৯৭০৩৪০