সংক্ষিপ্ত
- কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় একবার পড়লে তার থেকে রেহাই পাওয়া মুশকিল
- বেশিদিন এই সমস্যা ফেলে রাখলে বড় অসুখের কবলে পড়তে হতে পারে
- খাদ্যাভ্যাসের জন্যই এই যন্ত্রণাদায়ক অসুখের কবলে পড়তে হয়
- এছাড়া চিকিৎসকরা বলছেন কোলনে বেশিক্ষণ পর্যন্ত মল স্থায়ী হলে তা শক্ত হয়ে যায়
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় একবার পড়লে তার থেকে রেহাই পাওয়া মুশকিল। বেশিদিন এই সমস্যা ফেলে রাখলে বড় অসুখের কবলে পড়তে হতে পারে। খাদ্যাভ্যাসের জন্যই এই যন্ত্রণাদায়ক অসুখের কবলে পড়তে হয়। এছাড়া চিকিৎসকরা বলছেন কোলনে বেশিক্ষণ পর্যন্ত মল স্থায়ী হলে তা শক্ত হয়ে যায়। এছাড়া জল কম খেলেও এই সমস্যায় পড়তে হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
জেনে নেওয়া যাক কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কোন খাবারগুলি খাবেন না-
১) সাদা ভাত- চিকিৎসকরা সাদা ভাতের বদলে ব্রাউন রাইস খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। সাদা ভাতের তুলনায় ব্রাউন রাইসে অনেক বেশি পরিমাণে ফাইবার থাকে। সাদা ভাত তুলনামূলক প্রসেসড হওয়ায় পুষ্টিগুণ লোপ পায়।
আরও পড়ুনঃ এক কোয়া কাঁচা রসুনেই ওজন কমান! সঠিক পদ্ধতিকে টোটকা বানান
২) সাদা পাঁউরুটি- সাদা পাঁউরুটিতে ফাইবার থাকে না বললেই চলে। ফলে নিয়মিত যদি কেউ পাঁউরুটি খায় তা হলে তাঁর কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যায়। বদলে ব্রাউন পাউরুটি বা বাড়িতে বানানো রুটি খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৩) রেড মিট- রেড মিটে চর্বি জাতীয় খারাপ ফ্যাট থাকে। এছাড়া এতে হাই প্রোটিন ফাইবার থাকায় তা হজম হতে অনেক সময় লাগে। আয়রনের মাত্রাও বেশি থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
৪) ফ্রিজে রাখা খাবার- এই ধরনের খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এই নুন গলাতে অনেক বেশি পরিমাণে জল প্রয়োজন হয়। ফলে শরীরে খাবার হজমে জলের অভাব পড়ে। এর থেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের মাত্রা বাড়তে থাকে।
৫) ফাস্ট ফুড- এই খাবারগুলিতে ফাইবার কম থাকে আর ফ্যাট থাকে অনেকটা। পুষ্টিগুণও থাকে না। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।
৬) দুধ জাতীয় খাবার- চিজ, মাখন, মিষ্টি ইত্যাদিতে ল্যাকটোজ থাকে। ল্যাকটোজ গ্যাস ও অ্যাসিডিট বাড়িয়ে দেয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য বেড়ে যায়।
৭) কফি- কফি অত্য়াধিক মাত্রায় খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্য়া বেড়ে যায়।
৮) কাঁচাকলা- পাকাকলা কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগীদের জন্য়। উপকারী। আবার কাঁচাকলায় আয়রন বেশি থাকায় এটি কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়িয়ে দেয়।