সংক্ষিপ্ত

  • বিভিন্ন কারণে এই রোগের কোপে পড়তে হতে পারে।
  • প্রায়ই ডিহাইড্রেশন হলে আগে থেকেই সাবধান হোন।
  • আবার জিনগত কারণেও এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে।

বিভিন্ন কারণে এই রোগের কোপে পড়তে হতে পারে। প্রায়ই ডিহাইড্রেশন হলে আগে থেকেই সাবধান হোন। আবার জিনগত কারণেও এই রোগ শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। তবে এই রোগ থেকে বাঁচার উপায়ও রয়েছে। তার জন্য কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখা দরকার। খাবারের দিকেও নজর দেওয়া উচিত। তা হলে জেনে নেওয়া যাক, এই রোগ থেকে বাঁচতে কী খাবেন আর কী খাবেন না- 

১) কিডনি স্টোনের অন্যতম কারণ ডিহাইড্রেশন। তাই দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান। 

২) খাবারে নুনের পরিমাণ কমিয়ে দিন। সোডিয়াম জাতীয় খাবার ক্য়ালশিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।ফলে কিডনিতে স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। 

৩) একই ভাবে রোজ যদি দুধ খান , তাহলে সেই অভ্যেস কমিয়ে দিন। কারণ দুধও শরীরে ক্যালশিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। 

৪) যে সব খাবারে অক্স্যালিক অ্যাসিড থাকে সেই খাবারগুলি খাওয়া কমাতে হবে। যেমন চা, বাদাম, স্ট্রবেরি বা বেরি জাতীয় ফলে অধিক পরিমাণ অক্স্যালিক অ্যাসিড থাকে। 

৫) ভিটামিন সি জাতীয় খাবার যেমন লেবু, কমলালেবু এগুলি খাওয়ার পরিমাণ কমান। কারণ এই খাবারগুলি পেটে গিয়ে অক্স্যালিক অ্যাসিডে পরিণত হয়, যা কিডনি স্টোনের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। 

৬) জিনগত কারণে এই রোগ হয়। তাই বংশে যদি এই রোগ কারও আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস থেকে থাকে তা হলে অবশ্যই মিষ্টি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে সাবধান হোন। 

৭)মাছ, ডিম ও মাংসে পিউরাইন থাকে। এই পিউরাইন শরীরে গেলে ইউরিক অ্যাসিডে পরিণত হয়, যা কিডনি স্টোনের ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। 

৮) ডায়েটে চাল ও গমের খাবার রাখুন। কিডনি স্টোন হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে এই জাতীয় খাবার খেয়ে সুস্থ থাকতে পারবেন।