সংক্ষিপ্ত

সাধারণত, নখ কামড়ানো এবং কামড়ানোর অভ্যাস শুধুমাত্র শিশুদের মধ্যে দেখা যায়, তবে প্রাপ্তবয়স্করাও এই অভ্যাস থেকে বাদ পড়েন না, নখ কামড়ানোর অভ্যাস উদ্বেগ এবং মানসিক চাপের একটি বড় কারণ হতে পারে। এই অভ্যাসটি একজন ব্যক্তির মধ্যে শৈশব থেকেই তৈরি হয় যা বড় হওয়ার সাথে সাথে বাড়তে পারে।

অনেকেরই দাঁত দিয়ে নখ কামড়ানো বা চিবানোর অভ্যাস আছে। অনেকে ভয়ে নখ কামড়ায় আবার অনেকে আতঙ্কে নখ কামড়ায়। নখ কামড়ানোর পেছনে কোনো কারণ নেই, তবে সেগুলো খেলে স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এটি এমন একটি সমস্যা যা বয়স বাড়ার সাথে সাথে বাড়ে। একজন ব্যক্তি নিজেও জানেন না কখন তার হাত তার মুখে যায়। এই অভ্যাসটি onychophagia নামে পরিচিত। এটা যে কোন বয়সের একজন মানুষের হতে পারে। অনেকে নখ এত বেশি কামড়ায় যে রক্তপাত হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক দাঁত দিয়ে কেন মানুষ নখ কাটেন বা কামড়ান। কীভাবে তা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়?

মানুষ কেন তাদের নখ কামড়ায়?
সাধারণত, নখ কামড়ানো এবং কামড়ানোর অভ্যাস শুধুমাত্র শিশুদের মধ্যে দেখা যায়, তবে প্রাপ্তবয়স্করাও এই অভ্যাস থেকে বাদ পড়েন না, নখ কামড়ানোর অভ্যাস উদ্বেগ এবং মানসিক চাপের একটি বড় কারণ হতে পারে। এই অভ্যাসটি একজন ব্যক্তির মধ্যে শৈশব থেকেই তৈরি হয় যা বড় হওয়ার সাথে সাথে বাড়তে পারে। এছাড়াও, লোকেরা বিরক্ত হলে তাদের নখ কামড়ায় কারণ তারা অলস থাকা বা কারও জন্য অপেক্ষা করতে পছন্দ করে না। মানব মনোবিজ্ঞানীরাও এর কারণ হতে পারেন।

কিছু অন্য কারণ
পরিপূর্ণতা
অনিয়ন্ত্রিত অবসেসিভ ডিসঅর্ডার
বিষণ্ণতা
নার্ভাসনেস
চাপ

এইভাবে এই অভ্যাস থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন

কম চাপ
নখ কামড়ানোর অভ্যাস থেকে মুক্তি পেতে হলে মানসিক চাপ কমানো প্রয়োজন। উত্তেজনা কমে গেলে, ব্যক্তি আর নিজের আঙুল মুখে দেবেন না, আস্স্বতে আস্য়ংতে নখ কাটার অভ্ক্রিযাসও কমে যাবে। 

বিটার নেইল পলিশ ব্যবহার করা
এই অভ্যাস থেকে মুক্তি পেতে তিক্ত নেইলপলিশ ব্যবহার করুন। বাজে স্বাদের নেইলপলিশ একজন মানুষকে নখ কামড়ানো থেকে বাঁচাতে পারে। গ্লাভস ব্যবহার করা যেতে পারে।

স্ট্রেস বল
যখনই আপনার নখ কামড়ানোর মত মনে হয়, আপনার হাত ব্যস্ত রাখুন এবং আপনার মনকে আপনার মুখ থেকে বের করুন। হাত ব্যস্ত রাখতে একটি স্ট্রেস বল ব্যবহার করা যেতে পারে।

নখ ছোট রাখুন
নখ যাতে বারবার মুখে না যায় সেজন্য নখ ছোট রাখা জরুরি। নখ ছোট হলে কুঁচকানো কঠিন হয়ে পড়ে এবং নখ কামড়ানোর অভ্যাস ধীরে ধীরে দূর করা যায়।