অকালপক্কতা ও চুল ঝরে যাওয়া রোধে আয়ুর্বেদিক পন্থা হিসেবে নাভিতে তেল লাগানোর উপকারিতা। নারকেল, চন্দন, সরিষা এবং বাদাম তেলের ব্যবহার এবং প্রয়োগ পদ্ধতি।

এখন চুল পড়া, অকালপক্কতার সমস্যা ঘরে ঘরে। ভুল খাদ্যভ্যাস ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারা এর মূল কারণ। বাজারে বিভিন্ন প্রসাধনী ও দামি ট্রিটমেন্ট থাকলেও ফল তেমন কার্যকরী বা দীর্ঘস্থায়ী নয়। এই অবস্থায় কাজে আসতে পারে এক আয়ুর্বেদিক পন্থা। যুগ যুগ ধরে মা-ঠাকুমারা বাচ্চাদের নাভিতে তেল লাগিয়ে আসছেন নানা কারণে। আয়ুর্বেদ বলছে, এই উপায় আপনার চুলের রং, ঘনত্ব এবং মোট কথা চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক। নির্দিষ্ট কিছু ধরনের তেল আছে যা নিয়মিত নাভিতে লাগাতে পারলে আপনার চুলের অকালপক্কতা ও ঝরে পড়া দূর হবে।

কী কী তেল লাগাতে পারবেন নাভিতে?

১। নারকেল তেল

নিয়মিত নাভিতে নারকেল তেল লাগালে আপনার চুলের শুষ্কতা রোধ করে, ময়েশ্চারাইজ করে চুল। আপনার চুল ঘন, কালো ও লম্বা হতে শুরু করবে।

২। চন্দনের তেল

আয়ুর্বেদ বলে, চন্দনের তেল চুলের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। চন্দনের সুন্দর গন্ধে মন ও মস্তিষ্কে প্রশান্তি মেলে, ঘুম ভালো হবে। রাতে ঘুমানোর আগে নিয়মিত নাভিতে চন্দনের তেল লাগালে চুল ঝরা কমবে।

৩। সর্ষের তেল

সরষের তেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ই সমৃদ্ধ। চুল গোড়া থেকে মজবুত করে। রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুল ঘন ও কালো করে তুলবে।

৪। বাদাম তেল

বাদাম তেল ভিটামিন ই সমৃদ্ধ। চুল লম্বা করতে সাহায্য করে এটি। নিয়মিত রাতে ঘুমোনোর আগে নাভিতে বাদাম তেল লাগিয়ে শুলে দারুণ কাজ দেবে। এমনকি চুল ঝরে পড়ার সমস্যা থেকেও বাঁচাবে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন?

রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে নিয়ম করে, আপনার যে কোনো পছন্দের তেল কয়েক ফোঁটা নিয়ে নাভিতে লাগিয়ে নিন। ৪-৫ দিনের মধ্যেই নিশ্চিত পরিবর্তন চোখে পড়বে আপনার।

সারাংশ অকালপক্কতা ও অসময়ে চুল ঝরে যাওয়ার মতো সমস্যায় বাজারে বিভিন্ন প্রসাধনী ও দামি ট্রিটমেন্ট থাকলেও ফল তেমন কার্যকরী বা দীর্ঘস্থায়ী নয়। এই অবস্থায় কাজে আসতে পারে এক আয়ুর্বেদিক পন্থা - নাভিতে তেল লাগানো।