সংক্ষিপ্ত

বেসনের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, যা চুলকে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। একই সময়ে, এটি ফলিকলগুলিকে শক্তিশালী করে এবং চুলকে নরম-চকচকে করে।

খাবারের জন্য বেসন ব্যবহার করা হয়। এর পাশাপাশি সৌন্দর্য বাড়াতেও বেসন ব্যবহার করা হয়। ছোলা যেমন ত্বক সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে, তেমনি শীতকালে মানুষ বেসন তৈরি করে খায়। শুধু তাই নয়, অনেকেই চুলে বেসন ব্যবহার করেন। চুলে বেসন লাগালে মাথার ত্বকের সমস্যা দূর হয়। আসলে, বেসন ময়দায় স্যাপোনিন থাকে, যা মাথার ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল দূর করে। এর পাশাপাশি এতে উপস্থিত প্রোটিন চুলের পর্যাপ্ত পুষ্টি জোগায় এবং মাথার ত্বকের পিএইচ লেভেলও ভারসাম্য বজায় রাখে।

বেসনের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়, যা চুলকে ফ্রি র‌্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। একই সময়ে, এটি ফলিকলগুলিকে শক্তিশালী করে এবং চুলকে নরম-চকচকে করে। অতএব, আপনি যদি চান, আপনি চুলে বেসন হেয়ার মাস্ক লাগাতে পারেন বা আপনি বেসন দিয়ে আপনার চুল ধুতে পারেন। হ্যাঁ, শ্যাম্পু বা সাবান দিয়ে চুল ধুতে না চাইলে বেসন দিয়ে চুল ধুতে পারেন। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন বেসন দিয়ে চুল ধুবেন কিভাবে?

বেসন দিয়ে চুল কিভাবে ধোবেন?

১. বেসন এবং দই

চুল ধোয়ার জন্য বেসন ও দই ব্যবহার করতে পারেন। আসলে, বেসন ময়দার মধ্যে একটি ক্লিনজিং এজেন্ট রয়েছে, যা চুল পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এর জন্য আপনি ৪-৫ চামচ বেসন নিন। এতে দই যোগ করে পেস্ট তৈরি করুন। এবার বেসন ও দইয়ের পেস্ট চুলে লাগান। এর পাশাপাশি মাথার ত্বকেও লাগাতে হবে। মাথায় ১৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন এবং ১৫ মিনিট পর চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। বেসন আপনার চুল পরিষ্কার করার পাশাপাশি চুলে প্রোটিন ও শক্তি জোগাবে।

২. বেসন এবং লেবুর রস

বেসনের সাথে লেবুর রস মিশিয়েও চুল ধুতে পারেন। এর জন্য একটি পাত্রে বেসন নিন, তাতে লেবুর রস মেশান। এর পর চুল ভালো করে ভিজিয়ে নিন। এবার এই পেস্টটি আপনার চুলে এবং মাথার ত্বকে ভালো করে লাগান। তারপর মাথার ত্বকে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। এটি ১-২ মিনিটের জন্য রেখে দিন এবং তারপরে চুল ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। চুল এবং মাথার ত্বক থেকে বেসন ভালোভাবে মুছে ফেলুন।

৩. বেসন এবং জল

আপনি যদি বেসনের মধ্যে লেবুর রস বা দই মেশাতে না চান, তবে আপনি বেসনে শুধুমাত্র জল যোগ করে আপনার চুল ধুয়ে ফেলতে পারেন। এর জন্য একটি পাত্রে বেসন নিয়ে তাতে জল দিন। এবার বেসন ও জলের পেস্ট চুলে, মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগান। চুলে ৫-১০মিনিট রেখে দিন। এরপর জল দিয়ে চুল ধুয়ে শুকিয়ে নিতে পারেন।

৪. বেসন এবং মধু

চুল ধোয়ার জন্য মধুর সঙ্গে বেসন মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য একটি পাত্রে বেসন নিন। এতে মধু এবং নারকেল তেল মেশান। এবার সবগুলো ভালো করে মিশিয়ে আপনার চুল ও মাথার ত্বকে লাগান। তারপর চুলে ভালো করে ২-৩ মিনিট ম্যাসাজ করে এভাবে কিছুক্ষণ রেখে দিন। এর পর পরিষ্কার জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। মধু চুলকে ময়েশ্চারাইজ করবে, চুলকে করবে ঝলমলে।

৫. বেসন এবং দুধ

বেসন ও দুধ মিশিয়েও চুল ধুতে পারেন। এর জন্য একটি পাত্রে বেসন রেখে তাতে দুধ দিন এবং তারপর দুটোই ভালো করে মেশান। এবার চুলে এবং মাথার ত্বকে ভালো করে ম্যাসাজ করুন। ৫-৮ মিনিট পর জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। আপনি সপ্তাহে ১-২ বার বেসন দিয়ে আপনার চুল ধুতে পারেন। বেসন দিয়েও চুল ধুতে পারেন। বেসনের মধ্যে মধু, দুধ, জল, লেবুর রস এবং দই মিশিয়ে চুল ধুতে পারেন। এটি আপনার চুলের সমস্যার সমাধান করতে পারে। এর পাশাপাশি চুলও হয়ে উঠবে মজবুত, সুন্দর ও নরম।