সংক্ষিপ্ত
চুল পড়া বন্ধ করতে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের পণ্য ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু এর পরেও উল্লেখযোগ্য কোনও পার্থক্য দেখা যায় না।
চুল পড়ার সমস্যা আজকাল খুব সাধারণ হয়ে উঠছে। দূষণ, শরীরের পরিবর্তন এবং বয়স বৃদ্ধি এর কারণ হতে পারে। ৪০ বছর বয়সের পরে এই সমস্যাটি অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। এমন পরিস্থিতিতে চুল পড়া বন্ধ করতে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের পণ্য ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু এর পরেও উল্লেখযোগ্য কোনও পার্থক্য দেখা যায় না।
এমন পরিস্থিতিতে সবার আগে জেনে নেওয়া দরকার চুল পড়ার কারণ কী? একবার আপনি এটি জানতে পারেন, তারপর সেই অনুযায়ী এটি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে পারেন।
৪০ বছর বয়সের পর চুল পড়ার কারণ-
হরমোনের পরিবর্তন
একজন মানুষের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে হরমোনের পরিমাণ বাড়ে বা কমতে থাকে। বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের অভাব এবং পুরুষদের মধ্যে DHT বৃদ্ধির কারণে চুল পাতলা হতে শুরু করে।
পুষ্টির ঘাটতি
শরীরে ভিটামিন ও পুষ্টির মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবের কারণে চুল পড়া বা এ সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
রক্ত সঞ্চালন
যাদের রক্ত সঞ্চালন কোনও কারণে কমে যায়, তাদের চুলের ফলিকল সঠিক পুষ্টি পায় না এবং তাদের চুল পড়ার সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
চিকিৎসাধীন অবস্থা
থাইরয়েড, অটোইমিউন রোগ, দীর্ঘস্থায়ী রোগ ইত্যাদির মতো অনেক ধরনের চিকিৎসার কারণে চুল পড়ে যেতে পারে। এর সঙ্গে, কিছু জিনিস রয়েছে যা আপনার মনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাস্থ্যকর খাদ্য
আপনার ডায়েটে ভিটামিন, পুষ্টি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করুন, যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী প্রমাণিত হয়।
মাথার স্ক্যাল্পের ম্যাসাজ-
নিয়মিত তেল লাগানো এবং মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে পারে এবং চুলের ফলিকলগুলিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করতে পারে।
সুস্থ জীবনধারা-
মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করুন। এছাড়াও, নিয়মিত এমন ব্যায়াম এবং যোগব্যায়াম করুন যা আপনার চুলের জন্য ভাল।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন
এমন পরিস্থিতিতে অনেক চেষ্টার পরও যদি আপনার চুল ঝরতে থাকে। তবে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন। তিনি আপনাকে আপনার চুল এবং অবস্থা অনুযায়ী সঠিক পণ্য নির্বাচন করার পরামর্শ দেবেন।