সমাজ মাধ্যমে ত্বক পরিচর্যায়ে প্রতি ৫ টার মধ্যে ৩টে ভাইরাল ভিডিওতেই কাঁচা দুধের ব্যবহারের কথা উল্লেখ পাবেন।
প্রাকৃতিক উপায়ে ২টিকেই জ্বল্লা ফেরাতে আর কিছু না হোক কাঁচা দুধে তুলো ভিজিয়ে ঠিক মুখে মাখা হয়ে যায়। আবার অনেকে দুধ জলে স্নানও করে থাকেন ত্বক নরম ও পরিষ্কার করবেন বলে। বাথটবে জলে দুধ মিশিয়ে গোলাপের পাঁপড়ি ছড়িয়ে বেশ অনেক্ষণ গা ডুবিয়ে আছেন। আদৌ কি সুফল পাচ্ছেন? ত্বকের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে না তো কাঁচা দুধ? একদল বিশেষজ্ঞদের মতানুযায়ী দুধ সবার জন্য উপযোগী নয়, না খাওয়ার ক্ষেত্রে না ত্বকে মাখার ক্ষেত্রে। তাই মুখে কাঁচা দুধ মাখতে হলে আগে হাতে কিছুক্ষণ লাগিয়ে প্যাচ টেস্ট করে দেখবেন তাতে লোক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা অ্যালার্জি আছে কিনা আপনার।
কাঁচা দুধ ত্বকের কোন কোন ক্ষেত্রে ক্ষতি করতে পারে?
১। ব্রণর সমস্যা : মুক্যে ব্রণ থাকলে কাঁচা দুধ ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন। ব্রণর সমস্যাকে আরও খারাপ করতে পারে। এতে কেসিন এবং হোয় থাকে, যা ত্বলের পোরস্ গুলো বন্ধ করে দেয়। মুখের টি-জোন বা যেখানে
ব্রণ বেশি হয় সেখানে দুধ মাখলে ত্বকে ব্যাকটেরিয়া জমা হয়।
২। ব্যাকটেরিয়া জনিত সংক্রমণ : কাঁচা দুধে ত্বকে ব্যাক্টেরিয়াঘটিত সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। কাঁচা দুধের মধ্যে ই কোলাই, স্যালমোনেল্লা বা লিস্টেরিয়ার মতো ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া থাকে। ফলে কাঁচা দুধ খেলে বা মাখলে তা আপনার উপযোগী না হোলেও সমস্যা হতে পারে।
৩। অ্যালার্জি : অনেকেই ল্যাক্টজ ইনটলারেন্ট বা সহজ ভাষায় বললে দুগ্ধ জাতীয় খাবার সহ্য হয় না অনেকের। সুতরাং মুখে মাখলেও একই রকম সমস্যা হতে পারে। আসলে দুধে যেসব ধরণের প্রোটিন থাকে তা ত্বকে সহ্য না অনেকসময়, ফলে লাল হয়ে ফুলে যাওয়া, চুলকানি, অ্যালার্জি দেখা দেয়।
৪। ত্বকে পিএইচের ভারসাম্য : স্বাভাবিক ত্বকে পিএইচের মাত্রা ৪.৫ থেকে ৫.৫ এর মধ্যে থাকে। কিন্তু কাঁচা দুধের পিএইচের মাত্রা তার চেয়ে অনেক বেশি। ফলে কাঁচা দুধ মুখে মাখলে ত্বকের মধ্যে পিএইচের ভরসাম্য নষ্ট হয় ও ত্বক স্পর্শকাতর হয়ে পড়ে।
