পুজোয় আপনার কোন স্কিনটোনের সাথে কি রকম লিপস্টিক যাবে রইল তার কিছু টিপস।
নারীদের সাজসজ্জার অন্যতম ও আকর্ষনীয় অনুষঙ্গ হল লিপস্টিক। পরিপূর্ণ ও ভারি ধাঁচের মেকআপ থেকে শুরু করে, ক্লাস কিংবা অফিসে যাওয়া, কিংবা ছোট বড় সব অনুষ্ঠানের জন্য হালকা সাজ এবং গর্জিয়াস মেকাপের জন্য লিপস্টিক ব্যবহার করতেই হয়। সামান্য লিপস্টিকের স্পর্শে চেহারার ক্লান্তি, বিষন্নতা অনেকখানি ঢেকে ফেলা সম্ভব। লিপস্টিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড নির্বাচন করা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমন জরুরী ত্বকের রঙের ধরণ বুঝে লিপস্টিকের রঙ নির্বাচন করা। ত্বকের বর্ণ ফেয়ার, মিডিয়াম, ট্যান ও ডার্ক-এই চারটি ভাগে বিভক্ত করে সুইট, ন্যুড ও বোল্ড- এই তিনটি ভাগে লিপস্টিকের রঙ নির্বাচন করা হয়।
সবার আগে মনে রাখতে হবে লিপ প্রিপেয়ারের কথা। অর্থাৎ ভালো করে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। তারপর অতিরিক্ত লিপবাম মুছে নিন টিস্যু দিয়ে। তারপর ঠোঁটে হালকা করে ফাউন্ডেশন লাগান। বিশেষ করে যাদের কালচে ঠোঁট।
এরপর লিপ লাইনার দিয়ে ঠোঁটের আউটলাইন করে নিন। এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। লিপস্টিকের শেডের লিপবাম হাতের কাছে না থাকলে, ন্যুড রঙের লিপ লাইনার ব্যবহার করুন। তারপর লিপস্টিক লাগান। এই স্টেপগুলো ফলো করতে ভুলবেন না কিছুতেই।
হালকা গায়ের রং যাদের তাঁদের গোলাপি, পিচ, কোরাল এবং হালকা ন্যুড শেডগুলি খুব ভালো মানায়।
যাদের গায়ের রং মাঝারি, তাঁদের সাধারণত খুব হালকা রং ছাড়া, সব রঙের লিপস্টিকেই ভালো লাগে। কিনতে পারেন ক্যারামেল, বাদামি-কমলা এবং ইটের মতো উষ্ণ আন্ডারটোন যুক্ত শেডগুলি। এমনকী মেরুন বা লালচে কমলা লিপস্টিকও আপনাকে ভালো মানাবে।
আর যাদের গায়ের রং একটু চাপা তারা বারগেন্ডি, ডিপ ক্র্যানবেরি, বা ডিপ লালচে কমলা শেড ব্যবহার করতে পারেন। ন্যুড শেড কেনার সময় খেয়াল রাখুন তাতে যেন খয়েরি রঙের আন্ডারটোন থাকে।


