দুধের আইস কিউব: মুখে লাগালে দরকার পড়বে না কোনও দামি ফেসিয়ালের!
গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত ঘাম, রোদ এবং ময়লার কারণে মুখের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে মুখে ব্রণ, বলিরেখা, কালো দাগ ইত্যাদি দেখা দেয়। দুধ দিয়ে তৈরি আইস কিউব ব্যবহার করে এই সমস্যাগুলির সমাধান করা সম্ভব।

মেరిসে আন্দম কোসম..
বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের মুখে পরিবর্তন আসা স্বাভাবিক। ধীরে ধীরে মুখে বলিরেখা পড়তে শুরু করে। মুখের উজ্জ্বলতাও কমে যায়। এর সাথে গ্রীষ্মকাল এলে মুখে ট্যানও বেড়ে যায়। এই সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পেতে অনেকে পার্লারে গিয়ে ফেসিয়াল করান অথবা হাজার হাজার টাকা খরচ করে মেকআপ প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন। কিন্তু, কেবলমাত্র ঘরে থাকা দুধ দিয়েই এই সমস্যাগুলির সমাধান করা সম্ভব, তা কি জানেন? তাহলে জেনে নিন, কিভাবে দুধ ব্যবহার করবেন।
সেরা সমাধান..
গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত ঘাম, রোদ এবং ময়লার কারণে মুখের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে মুখে ব্রণ, বলিরেখা, কালো দাগ ইত্যাদি দেখা দেয়। দুধ দিয়ে তৈরি আইস কিউব ব্যবহার করে এই সমস্যাগুলির সমাধান করা সম্ভব। এছাড়াও, মুখের উজ্জ্বলতাও বাড়বে।
কিভাবে দুধের আইস কিউব তৈরি করবেন? কিভাবে ব্যবহার করবেন?
প্রথমে ¾ কাপ ঠান্ডা দুধ নিন। এর সাথে ¼ কাপ জল মিশিয়ে ভালো করে নাড়ুন। এই মিশ্রণটি আইস ট্রেতে ঢেলে ৪-৫ ঘন্টা ফ্রিজে রাখুন। ফ্রিজ থেকে বের করে আইস কিউবগুলো আলতো করে মুখে এবং ঘাড়ে ঘষুন। আধঘন্টা পর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। लगातार দুই সপ্তাহ এভাবে ব্যবহার করলে আপনার মুখের উন্নতি স্পষ্ট দেখতে পাবেন।
দুধের আইস কিউবের উপকারিতা...
ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা প্রদান করে। দুধে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের মৃত কোষ দূর করে। এটি ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করে তোলে। ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। দুধের আইস কিউব ত্বক পরিষ্কার করে এবং মুখে জমে থাকা ময়লা দূর করে। ফলে ব্রণের পরিমাণ কমে। কালো দাগ দূর করে। অনেকের চোখের নিচে কালো দাগ দেখা দেয়, যা দেখতে খারাপ লাগে। এছাড়াও, পর্যাপ্ত ঘুম না হলে চোখ ফুলে যায়। দুধের আইস কিউব এই সমস্যাগুলির সমাধান করে। দুধে থাকা পুষ্টি উপাদান ত্বকের পুষ্টি জোগায় এবং কালো দাগ দূর করে। ত্বক টানটান করে। বরফ ত্বককে টানটান করে এবং শুষ্ক ত্বকে আর্দ্রতা প্রদান করে। এটি ত্বককে কোমল করে তোলে।
বিঃদ্রঃ...
যাদের দুধের অ্যালার্জি আছে, তারা প্রথমে ত্বকের ছোট্ট অংশে পরীক্ষা করে দেখুন। কোনো সমস্যা না হলেই মুখে ব্যবহার করুন। এছাড়াও, কখনোই সরাসরি বরফ মুখে ঘষবেন না। একটি ছোট কাপড়ে বরফ পেঁচিয়ে নিয়ে তা দিয়ে মুখে লাগান। সপ্তাহে অন্তত ৩ বার এভাবে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।

