পুষ্টিতে ভরপুর আম শুধু খেলেই উপকার মিলবে না ত্বক চর্চায়ও যথেষ্ট উপকারী এটি। গরমকালে তৈলাক্ত, রুক্ষ্ম, নিস্তেজ বা ট্যান পড়া ত্বকে নির্দ্বিধায় ব্যবহার করতে পারেন আম।
গরমে কড়া রোদে কাজে বেরোলে ত্বকে ট্যান তো পড়বেই। মুখ, হাত অথবা পায়ের যতটুকু অংশ রোদের সংস্পর্শে আসে সাদা-কালো ছবির মতো করে ট্যান পড়ে যায় সেখানে। পার্লারে গিয়ে কত টাকাই বা আর খরচা করা যায়। তবে শুনুন, আম খাওয়ার সময় এক টুকরো আম মুখেও মেখে নিন। সস্তায়, বাজারে ভর্তি পাবেন। যেকোনো ধরনের, যেকোনো রঙের আম খাওয়ার সাথে সাথে ট্যান তুলতে মুখে লাগাতেও পারেন। এমনকি, রূপচর্চা শিল্পীরাও বলেন, গ্রীষ্মে রোদের তাপে ত্বকের যে ক্ষতি হয়, তা দূর করতে সাহায্য করতে পারে আম।
আসুন জেনে নি, ত্বক চর্চায় কিভাবে সাহায্য করে আম?
১। আমে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই এবং কে। যা ত্বকের কোষ মেরামত করে এবং পুষ্টি জুগিয়ে উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে ত্বকের।
২। আমের মধ্যে থাকা ভিটামিন ই এবং জীবাণুনাশক উপাদান ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে ব্রণ হওয়ার ঝুঁকি কমে।
৩। আমের পাল্পে থাকা প্রাকৃতিক এনজাইম ত্বকের মৃত কোষ পরিষ্কার করে, ফলে ত্বক হয় মসৃণ ও প্রাণবন্ত।
৪। আমে থাকা ভিটামিন এ ত্বকের কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে। যা ত্বককে টানটান ও নমনীয় রাখে।
৫। আমে রয়েছে এমন কিছু অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস রয়েছে যা সূর্যের তাপ থেকে হওয়া ত্বকের অক্সিডেশন প্রতিরোধ করে। সরাসরি সানস্ক্রিনের কাজ না করলেও সূর্যের তাপ থেকে হওয়া ক্ষতি মেরামত করতে যা অত্যন্ত উপযোগী।
ট্যান পরিষ্কার করতে আম কীভাবে ব্যবহার করবেন?
উপকরণ:
* একটি আমের শাঁস
* ১ চা চামচ বেসন
* ১ চা চামচ মূলতানি মাটি
* ১/২ চা চামচ মধু
প্রণালী : আমের শাঁস ভালো করে চটকে, ছেঁকে মসৃণ পাল্প বের করে নিতে হবে। এবার এর সাথে বেসন, মুলতানি মাটি ও মধু প্রত্যেকটি উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিতে হবে। এই মিশ্রণটি হাতে, মুখে, গলায়, ঘাড়ে অন্তত ১৫ মিনিট রেখে দিন। তার পরে ঈষদোষ্ণ জলে ভালোভাবে ঘষে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এই প্যাক ব্যবহার করতে পারলেই যথেষ্ট।
সতর্কতা
কারণ আমি বা কার্বাইড দেওয়া আমে অ্যালার্জি থাকলে সচেতন থাকবেন। সারা গায়ে এই প্যাক লাগানোর আগে অবশ্যই হাতে অল্প মেখে নিয়ে অ্যালার্জি প্যাচ টেস্ট করে, দেখে নিন ওই প্যাক লাগিয়ে ত্বকে কোনো অস্বস্তি বা ৱ্যাশ উঠছে কি না।