বয়স শুধু সংখ্যা মাত্র! পুজোর আগে দূর করুন বলিরেখা, পান উজ্জ্বল ত্বক
- FB
- TW
- Linkdin
মহিলারা সুন্দর দেখাতে কখনই পিছপা হন না। সুন্দর দেখাতে, মুখের দাগ ঢাকতে বাজারে পাওয়া যায় এমন অনেক সৌন্দর্য পণ্য ব্যবহার করেন। কিন্তু রাসায়নিক মিশ্রিত পণ্য আপনার সৌন্দর্য কমিয়ে ত্বকের নানা সমস্যার সৃষ্টি করে।
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখে, ত্বকে অনেক পরিবর্তন আসে। সাধারণত ৩৫ বছর বয়সের পর মুখে বলিরেখা পড়ে। এটা খুবই সাধারণ। কিন্তু এই বলিরেখা নারীর সৌন্দর্য কমিয়ে দেয়। তবে আপনি যদি কিছু টিপস মেনে চলেন তাহলে আপনার মুখ ৪০ বছর বয়সেও ২০ বছর বয়সীদের মতো দেখাবে। আসুন এখন জেনে নেওয়া যাক।
মুখে বলিরেখা কেন পড়ে?
আপনি যদি চিরকাল তরুণ দেখাতে চান তাহলে আপনার মনকে শান্ত ও আনন্দে রাখার চেষ্টা করুন। যতটা সম্ভব হাসার চেষ্টা করুন। তবে মুখে বলিরেখা পড়ার অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভালো ঘুম না হওয়া, টেনশন, ব্যস্ত জীবনযাত্রা ইত্যাদি। এতে মুখ অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়ে। সেইসাথে পেশীও শক্ত হয়ে যায়। এর ফলে অল্প বয়সেই পেশীর শিথিলতার কারণে মুখে বলিরেখা দেখা দেয়।
বাস্তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে বলিরেখা পড়া খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু বলিরেখার সঙ্গে বয়সের কোনও সম্পর্ক নেই। অর্থাৎ অল্প বয়সীদেরও বলিরেখা দেখা দিতে পারে। রাসায়নিক সমৃদ্ধ সৌন্দর্য, ত্বকের পণ্য বেশি ব্যবহার করলে ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়। তাই যতটা সম্ভব রাসায়নিক সমৃদ্ধ প্রসাধনী ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। এগুলো অল্প বয়সেই বলিরেখা তৈরি করে।
মুখের বলিরেখা দূর করতে কী করবেন?
অনেক মহিলা মুখকে আরও সুন্দর করতে রাসায়নিক সমৃদ্ধ সৌন্দর্য পণ্য ব্যবহার করেন। এই মেকআপ অপসারণ করতে আরও অনেক পণ্য ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু এতে ত্বকের ক্ষতি হয়। মুখের পেশী আলগা হয়ে যায়।
তাই মুখে মেকআপ ব্যবহার করলে তা দূর করতে নারকেল তেল ব্যবহার করুন। নারকেল তেল মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এতে মুখের পেশী টানটান হয়। সেইসঙ্গে ত্বক টানটান থাকে। মুখে বলিরেখা পড়ে না।
এরপর মুখের বলিরেখা দূর করতে চন্দন, মধু, ডিমের সাদা অংশ তিনটি মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি মুখে লাগান। এই তিনটিতে থাকা পুষ্টি পেশী টানটান করতে সাহায্য করে। এভাবে সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যবহার করলে মুখ উজ্জ্বল হয়। তবে আপনি নারকেল তেলে হলুদ মিশিয়ে মুখে লাগালেও আপনার মুখ সুন্দর হবে।
মুখ সুন্দর করে তোলে টক দইয়ের ফেস প্যাক..
টক দইয়ের ফেস প্যাক:
টক দইয়ের ফেস প্যাক আপনার মুখকে সুন্দর করে তুলবে। এজন্য আপনি রাতে ঘুমানোর আগে টক দই মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। টক দইয়ে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড মৃত ত্বকের কোষ সম্পূর্ণরূপে দূর করে। ব্রণ রোধ করে।
টক দই, শসার প্যাক:
টক দইয়ের সঙ্গে শসার ফেস প্যাকও ব্যবহার করতে পারেন। এটি তৈলাক্ত, শুষ্ক ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এজন্য শসা ছিলে ছোট ছোট টুকরো করে নিন। এবার এগুলো মিক্সিতে পেস্ট করে নিন। এবার এতে টক দই মিশিয়ে মুখে লাগান। এভাবে সপ্তাহে দুবার করলে মুখের ময়লা দূর হয়ে আপনার ত্বক উজ্জ্বল দেখাবে। সেইসঙ্গে আপনি তরুণ দেখাবেন।
টক দই, হলুদের ফেস প্যাকও আপনার সৌন্দর্য বাড়ায়। এজন্য টক দইয়ে অল্প পরিমাণে হলুদ মিশিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এটি আপনার মুখ এবং ঘাড়ে লাগান। ৩০ মিনিট পরে সাধারণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই দুটিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের সংক্রমণ রোধ করে।