মেকআপ না তুলে ঘুমালে ত্বকের লোমকূপ বন্ধ হয়ে যায়, যার ফলে ব্রণ ও অন্যান্য সমস্যা দেখা দেয়। এটি কোলাজেন উৎপাদন কমিয়ে দিয়ে ত্বকে বলিরেখা সৃষ্টি করে এবং ত্বককে দ্রুত বুড়িয়ে দেয়। তাই ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় ঘুমানোর আগে মেকআপ তুলে ফেলা অপরিহার্য।

মেকআপ না তুলে ঘুমালে ত্বক সঠিকভাবে শ্বাস নিতে পারে না, যার ফলে ব্রণ ও অন্যান্য ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটি ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন কমিয়ে দিয়ে ত্বকে বলিরেখা সৃষ্টি করে এবং ত্বক দ্রুত বুড়িয়ে যায়। মেকআপের কণা ও ময়লা লোমকূপ বন্ধ করে দেয়, যার ফলে ত্বকের ক্ষতি হয় এবং সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ে।

আসলে দীর্ঘক্ষণ ত্বকের উপর মেকআপ থাকলে শ্বাস নিতে পারে না ত্বক। বন্ধ হয়ে যায় রোমকূপ। এতে স্কিনে ব্রণ, ফুসকুড়ির সমস্যা দেখা দিতে পারে। মেকআপ না তুলে ঘুমিয়ে পড়লে শীঘ্রই ত্বক বুড়িয়ে যায়। দ্রুত বলিরেখা পড়ে। আসলে মেকআপের পরত কোলাজেন উৎপাদনের প্রবণতা বন্ধ করে দিতে পারে। ফলে ইলাস্টিন ভেঙে গেলে ত্বকে তাড়াতাড়ি বলিরেখা তৈরি হয়।

মেকআপ না তুলে ঘুমানোর ফলে ত্বকের কি কি ক্ষতি হতে পারে জানুন:

* ত্বকের উপর অতিরিক্ত চাপ পরে:

মেকআপের একটি স্তর ত্বকের উপর বসে থাকে, যা ত্বকের স্বাভাবিক breathing process-এ বাধা দেয়।

* ব্রণ ও ত্বকের অন্যান্য সমস্যা:

মেকআপের কণা ও ময়লা ত্বকের লোমকূপ বন্ধ করে দেয়। এর ফলে ত্বকের ভিতরে প্রদাহ সৃষ্টি হয় এবং ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

* ত্বক বুড়িয়ে যাওয়া ও বলিরেখা:

মেকআপের পরত কোলাজেন উৎপাদন কমিয়ে দেয়, যা ত্বকের ইলাস্টিন নষ্ট করে। এতে ত্বকে বলিরেখা দেখা যায় এবং ত্বক দ্রুত বুড়িয়ে যায়।

* চোখের সংক্রমণ দেখা দিতে পারে:

চোখের মেকআপ, যেমন কাজল বা মাস্কারা, ঠিকমতো পরিষ্কার না করলে চোখের চারপাশের ত্বকে ভাঁজ পড়ে যেতে পারে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।

* ত্বকের শুষ্কতা ও প্রদাহ:

মেকআপ ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা শুষে নিতে পারে, যার ফলে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায় এবং চুলকানি ও প্রদাহ দেখা দিতে পারে।

* অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের অভাব:

মেকআপের পরত ত্বককে পরিবেশের ক্ষতিকর ফ্রি র‍্যাডিকেল থেকে রক্ষা করতে পারে না, ফলে ত্বকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।

তাহলে কি কি করা উচিত:

যতই ক্লান্ত লাগুক না কেন, ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই মেকআপ তুলে ফেলা জরুরি। এটি ত্বকের স্বাস্থ্য এবং উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।