ওষুধের মতো বালিশেরও একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে এবং মেয়াদোত্তীর্ণ বালিশ ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এটি ঘাম, তেল ও ধুলো শোষণ করে অ্যালার্জি, ঘাড় ও পিঠের ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। বালিশের উপাদান অনুযায়ী এর আয়ু ভিন্ন হয়।

ওষুধের মতো বালিশেরও একটি নির্দিষ্ট ব্যবহারের সময়সীমা আছে এবং মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ার পর এটি ব্যবহার করা ঠিক নয়। কারণ এটি আর স্বাস্থ্যকর থাকে না। বালিশের কার্যকারিতা সময়ের সাথে সাথে কমে আসে। কারণ এটি ঘাম, শরীরের তেল, মৃত ত্বক এবং ধুলোবালি শোষণ করে। এটি অ্যালার্জির কারণ হতে পারে এবং সঠিক সমর্থন না দেওয়ার কারণে ঘাড় ও পিঠের সমস্যা হতে পারে।

যে বালিশে শোয়া হয়, সেটি সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে থাকে। বালিশেই লাগে ঘাম। তা ছাড়া বালিশে থাকা ধুলো,-ময়লাও ত্বকে লাগে। সেই ধুলো-ময়লা শ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসেও যায়। তা থেকেই ত্বকে সংক্রমণের আশঙ্কা যেমন উড়িয়ে দেওয়া যায় না, তেমনই ফুসফুসের সমস্যাও ক্ষেত্র বিশেষে হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তা ছাড়া, এক এক ধরনের বালিশ এক এক রকম জিনিস দিয়ে তৈরি হয়। পলিয়েস্টার থেকে তুলো, ল্যাটেক্স— এক এক রকম উপাাদানের বালিশের মেয়াদ এক এক রকম হয়।

কোনটি কত দিন ব্যবহার করা হবে, তা রে নির্ভর করছে সেটির উপাদান, কভার পরিয়ে ব্যবহার করা হয় কি না, কত দিন অন্তর কভার কাচা হয় তার উপরে। সাধারণত পলিয়েস্টার দিয়ে তৈরি বালিশ ৬-৮ মাস ব্যবহার করা চলে। ল্যাটেক্সের বালিশ ২-৩ বছর ব্যবহার করা যায়। বাকহুইট বা সুতোর তন্তু ব্যবহারে তৈরি বালিশটি অন্তত ৫ বছর মাথায় দেওয়া যায়।

তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক বালিশ কখন পরিবর্তন করা উচিত:

* বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞের মতে, প্রতি দুই বছর পর বালিশ পরিবর্তন করা উচিত।

* লক্ষণ: আপনার বালিশের নিচের দিকে ভাঁজ বা ঢিবি থাকলে, বা এটি পুরনো ও নষ্ট হয়ে গেলে বুঝবেন এটি পরিবর্তন করার সময় এসেছে।

এখন জানা যাক বালিশের আয়ু বাড়ানোর পদ্ধতি:

* নিয়মিত ধোয়া: বালিশের কভার নিয়মিত ধোয়ার পাশাপাশি বালিশও ধোয়া উচিত, যা বালিশকে স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে।

* বালিশের কভার ব্যবহার: বালিশের কভার ব্যবহার করলে ঘাম, শরীরের তেল এবং ফেস ক্রিমের মতো জিনিস থেকে বালিশকে রক্ষা করা যায়, যা বালিশের স্থায়িত্ব বাড়ায়।

* বালিশ নিয়মিত পরিষ্কার এবং সঠিক সময়ে পরিবর্তন করা আপনার স্বাস্থ্য এবং ভালো ঘুমের জন্য জরুরি।