- Home
- Lifestyle
- Fashion and Beauty
- গোটা দুনিয়ায় ট্রেন্ডে এই স্কিন কেয়ার! রূপচর্চার জগতে নতুন ভাবে উদ্ভাবন 'ড্রাই বডি ব্রাশ'
গোটা দুনিয়ায় ট্রেন্ডে এই স্কিন কেয়ার! রূপচর্চার জগতে নতুন ভাবে উদ্ভাবন 'ড্রাই বডি ব্রাশ'
ড্রাই ব্রাশিং ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং সেলুলাইট কমায়। মাত্র ১০ মিনিটের এই পদ্ধতি ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল করে তোলে। পায়ের পাতা থেকে শুরু করে উপরের দিকে ব্রাশ করুন এবং পরে ময়েশ্চারাইজ করুন।

ইদানিং ত্বক ভেতর থেকে উজ্জ্বল ও মসৃণ করতে অনেক ছোটো ছোটো সিম্পল আক্সেসরিসের ব্যবহার হয়। যেমন ফেস ও স্ক্যাল্প ম্যাসাজার, ফেস রোলার, লিপ প্লাম্পার, ফেস রোলার ইত্যাদি।
এর মধ্যে আজকে যেটি নিয়ে বলবো সেটিই ড্রাই বডি ম্যাসাজার। ড্রাই ব্রাশিং হল ত্বকের এক্সফোলিয়েশনের পদ্ধতি যা আপনাকে মসৃণ, উজ্জ্বল ত্বক উপহার দেবে। তাই আপনার দৈনন্দিন রূপচর্চার তালিকায় মাত্র ১০ মিনিটের এই কাজটি যোগ করুন। ফল শীঘ্রই পাবেন।
ড্রাই ব্রাশিংয়ের উপকারিতা :
১. ড্রাই ব্রাশ ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং পোরস্ খুলে দেয়, ত্বককে নরম ও মসৃণ করে তোলে।
২. বলা হয় যে ম্যাসাজ রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে এবং আপনার লিম্ফ্যাটিক সিস্টেমকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করে। আর রক্ত সঞ্চালন ভালো হলে ত্বকে অক্সিজেন ঠিকভাবে পৌঁছবে ও উজ্জ্বল্য বাড়বে।
৩. ড্রাই ব্রাশ নিয়মিত করলে ময়েশ্চারাইজার আরও ভালোভাবে কাজ করে, কারণ এতে ত্বকের বাইরের মৃত কোষগুলিকে পরিষ্কার করে ফেলা হয়। স্ক্রাবারের কাজ দেয় এই ড্রাই ব্রাশ।
৪. ড্রাই ব্রাশিং পুরানো ট্যান তুলতে সাহায্য করে, যা আপনার গায়ের রং আরও উজ্জ্বল করে দেবে।
৫. আচমকা ওজন বাড়লে সেলুলাইটের সমস্যা দেখা যায়। এই সেলুলাইট (এক ধরনের ফ্যাট বা চর্বি) হাঁটুতে বা কাঁধের কাছে স্ট্রেচ মার্কের মতো দাগ করে দেয়। এই দাগ ত্বকের স্বাভাবিক মসৃণতা ও সৌন্দর্য নষ্ট করে। তবে নিয়মিত ব্রাশিং করলে এমন সমস্যা অনেকটাই কমানো যায়।
৬. ব্রাশিং-এর ফলে শরীরে যে হালকা ভাইব্রেশন সৃষ্টি হয় তা স্নায়ুকে শিথিল করে আরাম দেয় ত্বকে ও শরীরে।
ড্রাই বডি ব্রাশ কীভাবে ব্যবহার করবেন?
ড্রাই ব্রাশ করা শুরু করতে হবে সবসময় পায়ের পাতা থেকে। ব্রাশ ধীরে ধীরে পায়ের নীচে থেকে কোমর পর্যন্ত টানতে হবে। কোমরের পর ব্রাশ তলপেট থেকে বুকের দিকে টানতে হবে। একই ভাবে হাতেও সেটি ব্যবহার করতে হবে। হাতে ব্রাশ ব্যবহারের সময় হাত থেকে শুরু করে ব্রাশটি উপরের দিকে স্ট্রোক দিয়ে ব্রাশ করতে হবে।
ছোট ও শক্ত উপরের দিকে ব্রাশের লম্বা স্ট্রোকের পরিবর্তে, আপনার পেট এবং বগলে বৃত্তাকারে ব্যবহার করতে হবে।
ড্রাই ব্রাশ করার পর ত্বকের যত্ন কীভাবে নেবেন?
প্রতিদিন অথবা দু'দিন পর পর ড্রাই ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে। শরীরের যে অংশগুলিতে সাধারণত বেশি নজর পড়ে না সেখানেও ব্যবহার করতে পারেন এই ব্রাশ। ড্রাই ব্রাশ ব্যবহার করার পর, ময়েশ্চারাইজড শাওয়ার জেল বা ক্ষার কম দেওয়া সাবান দিয়ে ত্বকের মৃত কোষ ধুয়ে ফেলতে স্নান করে নিন।
স্নানের পর, ত্বককে শান্ত ও অনেকক্ষণ আর্দ্র রাখতে করতে ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান। এই পদ্ধতি আপনাকে অন্তত ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত ত্বককে মসৃণ এবং আর্দ্র রাখতে সাহায্য করবে।
সতর্কতা : ক্ষত, জ্বালাপোড়া বা রোদে পোড়া ত্বকে ড্রাই ব্রাশ ব্যবহার করবেন না। ব্রাশ করার সময় কখনোই উপর থেকে নীচে নামানো যাবে না।