সংক্ষিপ্ত
তেল বা শ্যাম্পু নয়। বাড়ির তৈরি হেয়ার স্প্রে যখন ইচ্ছে তখনই ব্যবহার করতে পারেন। ৬০ দিনেই চুল হবে কালো, ঘন আর লম্বা।
সিল্কের মত একরাশ ঘন কালো চুলের স্বপ্ন কে না দেখে। কিন্তু বর্তমান এই সময় কালো চুল পেতে কোনও সমস্যা নেই। বাজারে নানা ব্র্যান্ডের হেয়ার কালার পাওয়া যায়। তারই একটা ব্যবহার করলেই কালো চুল পাওয়া যায়। কিন্তু ঘন আর লম্বা চুলের জন্য অনেকই কসরত করতে হয়। কিন্তু আজ এমন একটা উপায় বলব যা টানা ৬০ দিন ব্যবহার করলে অবশ্যই উপকার পাবেন। চুল কালো, ঘন আর লম্বা হবে। কিন্তু শর্ত একটা নিয়মিত ব্যবহার করতেই হবে।
তেল বা শ্যাম্পু নয়। এটি হেয়ারস্প্রে। তাই যখন ইচ্ছে তখনই ব্যবহার করতে পারেন। সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করতেই হবে। চাইলে দিনে একবার ব্যবহার করতেই পারেন। তবে ব্যবহার করেই স্নান করবেন না বা বাড়ির বাইরে বার হবেন না। লাগিয়েই চটজলদি স্নান করলে হেয়ার স্প্রের উপকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। আর লাগিয়েই যদি বাইরে বার হন ধুলো কাজে দেবে না হেয়ারস্প্রে। তাই লাগানোর পর কমকরে দেড়ঘণ্টা বাড়ির বাইরে যাবেন না বা স্নান করবেনা না। চাইলে রোদ্দুরে দাঁড়াতেই পারেন।
হেয়ার স্প্রে তৈরির উপকরণঃ
১০০ মিলি লিটার জল
এক মুঠ কারি পাতা
এক মুঠ কেশুত পাতা
এক চা চামচ মেথি
এক চা চামচ কালো জিরে
প্রণালীঃ
প্রথমেই পাতাগুলি ধুয়ে নিন। আগে থেকেই মেথি আর কালোজিরে আলাদা আলাদা করে ধুয়ে শুকিয়ে নিলে ভাল হয়। যদি না পারেন তাহলে কোনও ক্ষতিনেই। একটি পাত্রে ১০০ মিলি লিটার জল গরম হতে দেবেন। জল ফুটে গেলে একে একে মেথি, কালোজিরে, কারি পাতা আর কেশুত পাতা দিয়ে দিন। তারপর গ্যাসের আঁচটা মিডিয়ামে দিন। ধীরে ধীরে জল ফুটবে। দেখবেন জলের রঙ পরিবর্তন হচ্ছে । মাঝে মাঝে চাপত দিয়ে হালকা করে জল নেড়ে দেবেন। জল ৫০ মিলি লিটারের মত হলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। তারপর জল ঠান্ডা হলে একটি পরিষ্কার পাত্রে ঢুলে রাখুন। সেই জল মাত্র একদিনের জন্য রোদের আলোয়ে রাখুন। এই সময় কোনও কাচ বা স্টিলের পাত্র ব্যবহার করবেন। ভুলেও প্ল্যাস্টিকের পাত্র ব্যবহার করবেন না।
তারপর তা অন্য একটি পাত্রে রাখতে পারেন। যে পাত্র স্প্রে করা যায় সেই পাত্রেও রাখতে পারেন। বাড়িতে যদি তেমন কোনও কিছু না থাকে তাহলে হাত দিয়েই চুলের গোড়ায় লাগাবেন। তারপর তা পুরো চুলে লাগাবেন। মনে রাখবেন জোরে ঘসবেন না। আর চুলেরর ডগায় লাগানোর সময় অবশ্যই ওপর থেকে নিচের দিকে নিয়ে যাবেন। কিছুক্ষণ সেই অবস্থায় রেখেদিন। চুল শুকিয়ে দেলে চুলে চিরুনি দিন বা অন্য কিছু করুন। এভাবে ৬০ দিন এই ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি সিরাম ব্যবহার করলে পার্থক্যটা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।