সংক্ষিপ্ত

অনেক কারণ রয়েছে যার কারণে মুখে দাগ তৈরি হয়। আপনি এই দাগ মোকাবিলা করতে অনেক ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে পারেন।

মুখের দাগ নিয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। ত্বকের কিছু অংশে অত্যধিক মেলানিন উৎপাদনের কারণে এটি ঘটে। একটি সমীক্ষা অনুযায়ী পিগমেন্টেশন-এর জন্য অনেক কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে হরমোনের পরিবর্তন, সূর্যের সংস্পর্শে আসা এবং বার্ধক্য ইত্যাদি। এগুলি ছাড়াও আরও অনেক কারণ রয়েছে যার কারণে মুখে দাগ তৈরি হয়। আপনি এই দাগ মোকাবিলা করতে অনেক ধরনের প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে পারেন।

অ্যালোভেরা জেল

দাগ আক্রান্ত ত্বকে অ্যালোভেরা জেল লাগান। প্রায় ৩০ মিনিটের জন্য এটি ছেড়ে দিন। এর পর সাধারণ জল দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। অ্যালোভেরায় অ্যালোসিন এবং অ্যালোইন থাকে। তারা হাইপারপিগমেন্টেশন এবং সানস্পট থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।

লেবু

রোদে পোড়া দাগ থেকে মুক্তি পেতে লেবুও ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য একটি পাত্রে লেবুর রস নিন। এটি একটি তুলোর বল দিয়ে সানস্পটের জায়গার ত্বকে লাগান। এটি ২০ থেকে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এর পর সাধারণ জল দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। আপনি এটি সপ্তাহে এক থেকে দুবার ব্যবহার করতে পারেন।

আপেল সিডার ভিনেগার

একটি পাত্রে ১ চা চামচ মধু নিন। এতে চার চামচ জল দিন। এতে ১ চা চামচ আপেল ভিনেগার যোগ করুন। এই সব জিনিস মেশান। এবার এই মিশ্রণটি ত্বকে ১০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এর পর সাধারণ জল দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। সূর্যের কারণে হওয়া দাগ কমাতে এই মিশ্রণ কাজ করবে।

গ্রিন টি

গ্রিন টিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য। দাগ থেকে মুক্তি পেতেও ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য এক কাপ গরম জলেতে একটি গ্রিন টি ব্যাগ রাখুন। এভাবে ১০ মিনিট রেখে দিন। এর পর এই ব্যাগটি বের করুন। ঠান্ডা করে নিন। এই ব্যাগটি আক্রান্ত ত্বকে লাগান। কিছুক্ষণ থাকতে দিন। এর পরে এটি সরিয়ে ফেলুন। আপনি এটি সপ্তাহে এক থেকে দুবার ব্যবহার করতে পারেন।

বেসন

দাগ দূর করতে বেসনও ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য একটি পাত্রে দুই চামচ বেসন নিন। এতে দুধ, লেবু ও হলুদ গুঁড়ো দিন। এই সব জিনিস ভালো করে মিশিয়ে নিন। আক্রান্ত ত্বকে লাগান। কিছুক্ষণ থাকতে দিন। এর পর সাধারণ জল দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাকটি আপনার ত্বকের উন্নতিতে কাজ করবে।