সংক্ষিপ্ত
ঘি মুখেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে কাজ করে। ঠোঁট ফাটা থেকে ফোলা পর্যন্ত সমস্যা দূর করে ঘি। আসুন জেনে নেওয়া যাক অন্য কোনও রোগে এর প্রভাব দেখা যায়।
দেশি ঘি সাধারণত বাড়িতে খাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়। ঘি খেলে শরীরে এনার্জি লেভেল ঠিক থাকে। এতে থাকা ভিটামিন এ, ক্যালরি এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আসুন আমরা আপনাকে বলি যে ঘি খেলে এটি কেবল শরীরেরই উপকার করে না, ঘি মুখেও ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে কাজ করে। ঠোঁট ফাটা থেকে ফোলা পর্যন্ত সমস্যা দূর করে ঘি। আসুন জেনে নেওয়া যাক অন্য কোনও রোগে এর প্রভাব দেখা যায়।
১) পোড়া ক্ষত নিরাময়
ঘি একটি প্রাকৃতিক ওজন বৃদ্ধিকারী হিসাবে পরিচিত তবে এটি রোদে পোড়াতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। অনেক সময় সূর্যের রশ্মির কারণে ত্বকে ক্ষত বা কালচে দাগ তৈরি হয়, এমন অবস্থায় প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে পোড়া জায়গায় ঘি লাগালে পোড়ার দাগ শেষ হয়। এছাড়া মুখে লাগিয়েও ঘুমাতে পারেন।
২) প্রদাহ কমায়
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে ঘি এর ভিতরে এমন আয়ুর্বেদিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা শরীরের প্রদাহ কমাতে কাজ করে। মুখে লাগানোর আগে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে পরিষ্কার কাপড়ের সাহায্যে পরিষ্কার করে নিন। এরপর ঘি হালকা গরম করে শরীরের ফোলা অংশে লাগান।
৩) ফাটা ঠোঁট এবং ত্বকের সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে
শীতের মৌসুমে ঠোঁট ফাটার কারণে মাঝে মাঝে রক্তও আসতে থাকে। ঠোঁট ফাটা সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় ঘি। এর ভিতরে এমন কিছু গুণ রয়েছে যা ত্বকের লালভাব দূর করে। আপনার যদি কোনও ধরনের ত্বকের সংক্রমণ থাকে তবে এটি আপনার ত্বকের সমস্যা দূর করে। ঘি শীতে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। আপনি যদি এটি প্রতিদিন ঘুমানোর সময় ত্বকে ব্যবহার করেন তবে এটি আপনাকে শুষ্ক এবং প্রাণহীন ত্বক থেকে মুক্তি দেয়।