skin care: পুজোর আগে নিজের ত্বকের ব্রণ ফুসকুড়ি ও চুলকানি দূর করে ত্বকে নতুন জেল্লা ফেরাতে ঘরোয়া টোটকা রইল। বাড়িতে বসেই ব্রণর সমস্যা মেটান পুজোর আগে।
এখনও ‘গরমকালীন’ সমস্যাগুলো থেকে এখনও মুক্তি মেলেনি এবং আগামী আরও কিছু দিন তার জ্বালাতন আমাদের ভোগ করতে হবে। এ সময় সাধারণ র্যাশ থেকে অ্যালার্জি বড্ড জ্বালাচ্ছে। ত্বকের জ্বালা ভাব, চুলকানিতে নাজেহাল মহিলারাই। তাই নিষ্কৃতি পাওয়ার উপায় জানাটা খুব দরকার।
কখনও ভ্যাপসা গরম, কখনও বৃষ্টি। এই সময়ে ত্বকে যেমন র্যাশ, চুলকানির সমস্যা হয়, তেমনই এই সময় পেট খারাপ, ডায়েরিয়া থেকেও ছাপ পড়ে ত্বকে। এগ্জিমা, কনট্যাক্ট ডার্মাটাইটিস, অ্যালার্জি এই সময়ের খুব সাধারণ সমস্যা।
এবার সামনেই পুজো যার ফলে পুজোর জন্য ত্বকে বিভিন্ন রকম যত্ন আমরা করে থাকি। এই ঘরোয়া পদ্ধতিতে আমাদের জেনে রাখা দরকার এই রকম সমস্যা হলে কি করে তা নিরাময় হবে। তাই এই সমস্ত সমস্যা থেকে কি করে তাড়াতাড়ি মুক্তি পাওয়া যায় চলুন দেখা যাক।
ঘরোয়া টোটকা
তবে ঘরোয়া টোটকার মধ্যে ঘি সবচেয়ে ভাল উপায়। ভিটামিন এ, ডি এবং ই সমৃদ্ধ ঘি ত্বকের যে কোনও সংক্রমণ ঠেকাতে পারে। ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজ়ার হিসেবে কাজ করে ঘি, ত্বককে নরম ও মসৃণ রাখে। কাঁচা দুধ নিন দেড় কাপ। তাতে বেসন এবং এক চামচ ঘি দিয়ে পেস্ট বানিয়ে সারা শরীরে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে একটি গরম জলে ভেজানো তোয়ালে দিয়ে ঘষে ঘষে তুলে নিন। দেখবেন ত্বক অনেক পরিষ্কার হয়ে যাবে।
বেকিং সোডা দিয়ে স্নান করতে পারেন।এক বালতি ঠান্ডা জলে এক কাপ বেকিং সোডা মিশিয়ে রাখুন আধ ঘণ্টা। এই জলে স্নান করলে ত্বকের প্রদাহ কমবে।
এছাড়া নিমপাতা বাটা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। নিম পাতা এন্টিসেপটিক উপাদান। তাই র্যাশ বা চুলকানির সমস্যা থাকলে নিমের জল দারুণ ভাবে কাজ করে। ব্যবহার করা যায় নিমপাতা বাটা। নিমে রয়েছে অ্যান্টিসেপ্টিক এবং প্রদাহনাশক উপাদান। ফলে সংক্রমণ দূর করতে তা কার্যকর। নিমপাতা বাটা ত্বকে লাগালে জ্বালাভাব থেকেও আরাম মিলবে। নিমে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান থাকায় ব্রণ কমাতেও ভেষজের ব্যবহার হয়। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টও, যা ত্বক ভাল রাখতে সাহায্য করে।
আর চন্দনবাটা গুণ ও অনেক। ব্রণ ফুসকুড়িতে খুবই ভালো কাজ দেই চন্দন। এতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। ত্বকের প্রদাহ কমাতে চন্দন সাহায্য করে। র্যাশ থেকে জ্বালা হলে বা স্থানটি চিড়বিড় করলে একটু সাদা চন্দনবাটা লাগিয়ে দিতে পারেন। এতেও আরাম মিলবে।


