সংক্ষিপ্ত

কমলালেবুর খোসাতেও থাকে প্রচুর ভিটামিন। ফল খাওয়ার পর খোসাগুলি ফেলে না দিয়ে ব্যবহার করতে পারেন এই পদ্ধতিতে। 

শীতকালে মানেই মোয়া নাড়ুর পাশাপাশি বাঙালির খাদ্যতালিকায় জুড়ে যায় কমলালেবু। শীতের দুপুরে ছাদের রোদ গায়ে মেখে কমলালেবু খাওয়া যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, তেমনই এক নস্টালজিয়াও বটে। কমলালেবু দিয়ে বিভিন্ন ধরনের রেসিপিও জমিয়ে দিতে পারে বাঙালির হেঁশেল। কিন্তু, এই সুস্বাদু ফলটি খেয়ে অনেকেই খোসাগুলি অজত্নে ফেলে দেন। মনে রাখবেন, কমলালেবুর খোসাতেও থাকে ভিটামিন সি। কমলালেবুর খোসাকেও বিভিন্ন উপায়ে খাবারের সঙ্গে ব্যবহার করতে পারেন।

-

কমলালেবুর খোসা রোদে শুকিয়ে নিন। অথবা, শুকনো কড়াইতে হালকা করে নেড়েচেড়ে নিতে পারেন। খোসাগুলি শুকিয়ে গেলে মিক্সিতে সম্পূর্ণ গুঁড়ো করে নিন। গরম জলে এই কমলালেবুর খোসার গুঁড়ো গুলে নিলেই শীতকালে কমলালেবুর চা তৈরি। স্বাদের জন্য সামান্য আদাও মিশিয়ে নিতে পারেন। শীতের সকালে এই চা পান করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
-

১ চামচ জেলটিন নিয়ে জলে মিশিয়ে নিন। কমলালেবুর রস বের করে নিন। সসপ্যানে জেলটিনটা দিয়ে অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন। জেলটিন গলে গেলে মিশ্রণটি ঠান্ডা করে নিন। মিক্সিতে কমলালেবুর রস, গ্রেট করা কমলালেবুর খোসা, ২ চামচ চিনি এবং ২-৩ ফোঁটা অরেঞ্জ এসেন্স দিয়ে মসৃণ পেস্ট বানিয়ে নিন। সসপ্যানে ওই মিশ্রণটি ফুটিয়ে নিন। এতে জেলটিনের মিশ্রণটা দিয়ে দিন। চিনি গলে যাওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। একটি পাত্রে কেকের ছাঁচে কমলালেবুর খোসাগুলো সেট করে রাখুন। এর উপর জেলিটা ঢেলে দিন। এটা আট ঘণ্টা মতো ফ্রিজে রেখে দিন। ব্যস তৈরি কমলালেবুর খোসা জেলি।

-

শীতের দিনে বাড়িতে মিষ্টি তৈরি করছেন? কমলালেবুর খোসা সামান্য গ্রেট করে নিন। দুধ কাটিয়ে ছানা বানিয়ে নিন। ছানার ভাল করে জল ঝরিয়ে নেবেন। ছানার সঙ্গে চিনি ও সামান্য এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এবার এতে ওই গ্রেট করা কমলালেবুর খোসা মিশিয়ে দিন। এবার ভাল করে ছানাটা মেখে নিন। ছানা মাখার পর সন্দেশ পিস পিস করে কেটে নেবেন। সন্দেশ সেট হওয়ার জন্য ঘণ্টাখানেক ফ্রিজে রাখুন। ব্যস কমলালেবুর স্বাদের সন্দেশ তৈরি হয়ে যাবে।