সংক্ষিপ্ত
শীতকাল শুরু হতেই সর্দি-কাশি, জ্বর, ঠান্ডা-কাশির সমস্যাও বেড়ে যায়। বিশেষ করে যারা স্কুলে যায় বা ঠান্ডায় খেলাধুলা করে তাদের সর্দি-কাশি সবার আগে হয়। এ থেকে বাঁচতে মায়েরা বাচ্চাদের তেতো ক্বাথ খাওয়ান, যা বাচ্চারা পছন্দ করে না। আজ আমরা আপনাদের জানাবো একটি মজাদার আদা এবং মধুর ক্যান্ডির রেসিপি, যা বাচ্চারা টফি ভেবে খেয়েও ফেলবে এবং এই ক্যান্ডি বাচ্চাদের সর্দি-কাশির মতো সমস্যা থেকে দূরে রাখবে। তাহলে চলুন আপনারাও নোট করে নিন এই আদা-মধুর ক্যান্ডির রেসিপি...
আদা-মধুর ক্যান্ডির উপকরণ
তাজা আদা: ১/৪ কাপ
মধু: ১/২ কাপ
পানি: ২ টেবিল চামচ
লেমনের রস: ১ চা চামচ
পাউডার চিনি (কোটিং এর জন্য): ১ টেবিল চামচ
ক্যান্ডি তৈরির পদ্ধতি
- তাজা আদা ছিলে কুঁচিয়ে নিন।
- একটি প্যানে কুঁচিয়ে নেওয়া আদা, পানি এবং চিনি (যদি ব্যবহার করেন) দিন।
- মিশ্রণটি কম-মাঝামাঝি আঁচে ততক্ষণ গরম করুন যতক্ষণ না চিনি সম্পূর্ণরূপে গলে যায়।
- চিনি গলে গেলে মধু মিশিয়ে নাড়তে থাকুন।
- মিশ্রণটি ততক্ষণ রান্না করুন যতক্ষণ না এটি ঘন হয়ে ক্যান্ডির মতো তৈরি না হয়।
- এটি পরীক্ষা করতে ক্যান্ডির মিশ্রণের অল্প পরিমাণ ঠান্ডা পানির পাত্রে ঢেলে দিন। যদি এটি তাৎক্ষণিক শক্ত হয়ে যায়, তাহলে এটি তৈরি। যদি শক্ত না হয়, তবে ২-৩ মিনিট রান্না করুন।
- এবার প্যানটি চুলা থেকে নামিয়ে কিছুটা ঠান্ডা হতে দিন। মিশ্রণটি ঘি লাগানো ট্রে বা বাটার পেপারে ঢেলে আরও ঠান্ডা হতে দিন।
- এটিকে ক্যান্ডির আকারের ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন।
- ক্যান্ডিগুলো যাতে একে অপরের সাথে না লেগে থাকে, সেজন্য পাউডার চিনিতে গড়িয়ে নিন।
- ক্যান্ডিগুলো ঘরের তাপমাত্রায় একটি এয়ারটাইট পাত্রে সংরক্ষণ করুন।
শিশুদের জন্য আদা-মধুর ক্যান্ডির উপকারিতা
আদা: এটি গলার প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে, কাশি থেকে উপশম দেয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
মধু: মধু গলাকে আরাম দেয় এবং প্রাকৃতিক প্রদাহ-বিরোধী উপাদানে ভরপুর।