সংক্ষিপ্ত

যদি সপ্তাহে অন্তত একদিন সমস্ত ধরনের আমিষ খাবার বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ নিরামিষ খাওয়া যায়, তাহলেই কেল্লা ফতে! হু হু করবে কমতে থাকবে মেদ কিংবা মধুমেহ।

মাছ হোক কিংবা মাংস, বাঙালির সঙ্গে ‘খাদ্যরসিক’ শব্দটি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পৃথিবীর সমস্ত ধরনের খাবার চেখে দেখতে বাঙালির জুড়ি মেলা ভার। তবে, নিজের বাড়িতে অবশ্য কোলেস্টেরল, সুগার, প্রেসারের ঝামেলায় অনেকই জর্জরিত। ওজন কমানোর জন্য ডাক্তার বারবার সতর্ক করেন। সেই কথা মাথায় রেখে যদি সপ্তাহে অন্তত একদিন সমস্ত ধরনের আমিষ খাবার বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ নিরামিষ খাওয়া যায়, তাহলেই কেল্লা ফতে! হু হু করবে কমতে থাকবে মেদ কিংবা মধুমেহ। 

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রত্যেক সপ্তাহে অন্তত ১ দিন সব আমিষ খাবার ভুলে গিয়ে সম্পূর্ণ নিরামিষাশী হয়ে যেতে পারলে তা স্বাস্থ্যের জন্য অতীব উপকারী হয়ে উঠবে। পুষ্টিবিদের মতে, এই নিয়ম প্রত্যেক সপ্তাহে অবশ্যই পালন করলে একাধিক উপকারিতা লাভ করা যায়। নিরামিষ খাবার শরীরকে ডিটক্সিফাই করে। ডিটক্সিফিকেশনের কারণে লিভার ভালো থাকে, ফলে মানুষের হজমশক্তি বাড়ে, পাচনক্রিয়া ভালো হয়। পেটের সমস্যা দূর হয়। 

শাকসবজি এবং ফলমূল কার্ডিওভাসক্যুলার ডিজিজ দূর করে, অর্থাৎ হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখে। হৃৎপিণ্ডের চারপাশে মেদ জমতে দেয় না। শরীরে বাড়তি চর্বি জমার কারণে মানুষের ওজন বাড়ার যে সমস্যা ইদানিং খুবই বেড়ে উঠেছে, সেই সমস্যা কমাতে সাহায্য করে নিরামিষ খাবার। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে টাইপ টু ডায়াবেটিস বা মধুমেহ রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই কারণে, খাবারের মেনুতে নিরামিষ পদ রাখা অবশ্যই উপকারী। 

নিরামিষ খাবারে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার বা তন্তুজাতীয় উপাদান থাকে। ফলে নিরামিষ আহারে পরিপাক ক্রিয়া মসৃণ হয়, হজম ভালো হয়। এর দরুন, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও অনেক কম থাকে। শরীরে প্রচুর এনার্জি আসে। তার ওপর, ফাইবারের দ্বারা শরীরের পেশীও মজবুত হয়। শাকসবজি এবং ফলমূল পুষ্টিতে ভরপুর। নিরামিষ খাবারের সেই পুষ্টিকর দিকগুলি অবহেলা করা উচিত নয়। তাই প্রতি সপ্তাহে অন্তত একদিন সম্পূর্ণ নিরামিষ খাবার খাওয়ার অভ্যেস তৈরি করলে তা শরীরে দ্বিগুণ লাভ দেবে।