সংক্ষিপ্ত

  • একদিকে দুধে থাকে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ও প্রোটিন থাকে।
  • অন্যদিকে মধুতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি ফাংগাল প্রপারটি।
  • তাই দুইয়ের যুগলে যে এর উপকারও দ্বিগুণ হবে বলাই যায়। 
     

দুধ ও মধুর উপকারিতা পৃথক ভাবে সকলেরই মোটামুটি জানা। মধু খেতে ভাল লাগলেও, দুধ রীতিমতো নাক টিপে খেতে হয় অনেককে। কিন্তু এর গুণাগুণ কখনও অস্বীকার করা যায় না। 

একদিকে দুধে থাকে ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ও প্রোটিন থাকে। অন্যদিকে মধুতে থাকে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি ফাংগাল প্রপারটি। তাই দুইয়ের যুগলে যে এর উপকারও দ্বিগুণ হবে বলাই যায়। 

দেখে নেওয়া যাক দুধের সঙ্গে মধু খেলে কী কী উপকার পাবেন- 

১)দুধ ও মধু দুটিই ত্বকের জন্য উপকারী। দুধ ও মধুর প্যাক মুখে মাখলেও উপকার পাওয়া যায়। তাই খালি পেটে এক কাপ দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন। 

২) হজমের সমস্যা কাটাতে বা হজম শক্তি দূর করতেও খেতে পারেন দুধ মধু। হজমের সমস্যা থেকে পেটে ব্যথা, পেট গুড়গুড় করা,, কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা হয়. সেই সমস্যাগুলি দূর হবে। 

৩) সকাল বেলা এক কাপ দুধে মধু মিশিয়ে খেলে অবশ্যই শক্তির জোগান পাবেন।  দুধে প্রোটিন থাকে আর মধুতে কার্বহাইড্রেট, যা মেটাবলিজম ঠিক রাখে। ফলে এনার্জির জন্য খান এক কাপ দুধ-মধু।

৪) দুধে যথেষ্ট ক্যালশিয়াম থাকে। তাই হাড় ভাল রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার। আর দুধের এই গুণ কেই আরও বাড়িয়ে তোলে মধু। তাই হাড়ের জন্য় এই যুগলবন্দি ভাল। 

৫) অনিদ্রায় যাঁরা ভোগেন,, তাঁরা অবশ্যই খান দুধ-মধু। ইনসোমনিয়ার জন্য এমনিতেই রোগীকে দুধ ও মধু খেতে বলা হয়। ফলে দুয়ে মিলে যে আরও ভাল ফল পাওয়া যাবে তা বলাই যায়। 

৬)  বয়সের ছাপ পড়ছে মুখে! তা হলে অবশ্যই দুধের সঙ্গে মধু দিয়ে খান। যৌবন ধরে রাখতে এক জুড়ি মেলা ভার। 

৭) মধুতে অ্যান্টি ফাংগাল প্রপারটি থাকে যা সর্দি কাশি হওয়া থেকে রক্ষা করে।  ফলে সর্দি কাশি এড়াতেও এই টোটকা ব্যবহার করতেই  পারেন। 

তবে যাঁদের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সের সমস্যা রয়েছে তাঁরা দুধ খাওয়ার ব্যাপারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।