সংক্ষিপ্ত

  • ভাইরাল ফিভার হলে কষ্ট কয়েক গুণ বেড়ে যায়।  
  • তাই আগে থেকে সাবধান হওয়া দরকার।
  • কয়েকটি বিষয়  মেনে চললেই এড়ানো যায় ভাইরাল ফিভারের মতো রোগ।

ভাইরাল ফিভার বলে কয়ে আসে না। তার উপরে আবহাওয়ার পরিবর্তন লেগেই থাকলে তার আগমন যেন আরও নিশ্চিত হতে থাকে। গরমে চরম আর্দ্রতা আর প্যাচপ্যাচে ঘাম। আবার কোনও কোনও দিন তাপমাত্রা উর্ধ্বমুখী হলেও, শুষ্ক বাতাস আর লু বইতে থাকে। আবার কোনও দিন মেঘলা আর তার পরে বৃষ্টি। এরকম হলে জ্বর সর্দি, পেটের সমস্যা বাধতেই থাকে। ভাইরাল ফিভার হলে কষ্ট কয়েক গুণ বেড়ে যায়।  তাই আগে থেকে সাবধান হওয়া দরকার। কয়েকটি বিষয়  মেনে চললেই এড়ানো যায় ভাইরাল ফিভারের মতো রোগ।

জেনে নেওয়া যাক সেগুলি কী কী- 
১) ভাইরাল ফিভারের অন্যতম কারণ হলো ডিহাইড্রেশন তাই অবশ্যই বেশি করে জল পান করুন। মদ্যপান বা ধূমপান করবেন না। এতে ডিহাইড্রেশন হওয়াসম্ভাবনা বেড়ে যায়। 

২) দেখবেন আপনার খাবারের সামনে কেউ যাতে না কাশেন বা হাঁচি দেন। এখান থেকে জীবাণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। ভাইরাল ফিভারের শিকার হতে পারেন।

৩) হাত না ধুয়ে চোখে, নাকে বা মুখে ‌‌‌দেবেন না। এতে জীবাণু ছড়িয়ে পড়ে। সব সময়ে সঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখুন। খাওয়ার আগে ব্যবহার করুন। 

৪) পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা আবশ্যিক। সর্দিকাশি বা জ্বরের রোগীর সঙ্গে হাত মেলালে অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।

এছাড়া ঘরেই খুব সহজে একটি টোটকা বানানো যায়, যা ব্যবহার করলে সহজেই এড়ানো যায় ভাইরাল ফিভার। এর জন্য দরকার মাত্র রসুনের দুটো কোয়া আর একটু আদা। রোজ সকালে খালি পেটে দুটো কোয়া কাঁচা রসুন আর কাঁচা আদা চিবিয়ে খান। রোজ এটা খেলে সহজেই এড়াতে পারবেন সর্দিকাশি, পেটের সমস্যা ও ভাইরাল ফিভার। রসুনে অ্যান্টি ব্যাকেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাংগাল উপাদান থাকে। অ্যান্টি বায়োটিকের মতো কাজ করে। আদা আবার রক্ত সঞ্চালন ক্ষমতা বাড়ায় ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে আদা রসুন একসঙ্গে খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়ে। ধারে কাছে ঘেঁষে না ভাইরাল ফিভার।