সংক্ষিপ্ত
পাতাযুক্ত সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা কোলাজেন উৎপাদন এবং ত্বকের সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
ত্বকের যত্নের জন্য কোলাজেন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন। এটি কেবল ত্বকই নয়, পেশী, হাড়, লিগামেন্ট এবং অন্যান্য সংযোগকারী টিস্যুগুলির স্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। শরীর স্বাভাবিকভাবেই কোলাজেন উৎপাদন করে। তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে কোলাজেন উৎপাদন কমতে শুরু করে। এর ফলে ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়।
কোলাজেন বৃদ্ধিতে খাদ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শরীরে কোলাজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করলে ত্বক উজ্জ্বল এবং সুন্দর হয়। কোলাজেন বৃদ্ধিকারী পুষ্টিতে সমৃদ্ধ একটি সুষম খাদ্য ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে। কোলাজেনের মাত্রা বাড়ানোর জন্য কিছু খাবার নিচে দেওয়া হল:
সাইট্রাস ফল
ভিটামিন সি সমৃদ্ধ সাইট্রাস ফল কোলাজেনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে।
বেরি
বেরিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। বেরিতে প্রচুর পরিমাণে জল এবং ফাইবার থাকে যা ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।
পাতাযুক্ত সবজি
ক্লোরোফিল সমৃদ্ধ পাতাযুক্ত সবজি কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে পারে। পাতাযুক্ত সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা কোলাজেন উৎপাদন এবং ত্বকের সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
বাদাম এবং বীজ
ভিটামিন ই এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ বাদাম এবং বীজ ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
রসুন
রসুনে সালফার নামক একটি যৌগ থাকে যা কোলাজেন গঠনে সহায়তা করে এবং ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
টমেটো
টমেটোতে প্রচুর পরিমাণে লাইকোপিন থাকে যা কোলাজেনকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
মেনে চলুন এই সকল টিপস। এরই সঙ্গে নিয়ম করে ত্বকের যত্ন নিন। রোজ সঠিক ভাবে ত্বক পরিষ্কার করুন। তেমনই টোনিং করুন ত্বক। এরই সঙ্গে নিয়ম করে ময়েশ্চরাইজার লাগান। তা না হলে ত্বকের সমস্যা বাড়তে থাকে। যত্নের অভাবে ত্বকে দেখা দেয় নানান সমস্যা। মেনে চলুন এই সকল টিপস। ত্বক ভালো রাখতে সঠিক খাবার খাওয়ার সঙ্গে পর্যাপ্ত জল পান করুন।