সংক্ষিপ্ত

আমরা অনেকেই সারা রাত এসি চালিয়ে ঘুমাই। কিন্তু তা করলে অনেক রোগ হতে পারে। আপনি যদি রাতে ৫-৬ ঘন্টা এসি চালিয়ে ঘুমান, তবে এই ভুলটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে

জানলার বাইরে তীব্র গরম। এমনকি সকালের পাশাপাশি রাতের তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি। আর এ কারণেই আমরা অনেকেই সারা রাত এসি চালিয়ে ঘুমাই। কিন্তু তা করলে অনেক রোগ হতে পারে। আপনি যদি রাতে ৫-৬ ঘন্টা এসি চালিয়ে ঘুমান, তবে এই ভুলটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে, আসুন জেনে নেওয়া যাক প্রতিদিন এসির মধ্যে ঘুমালে শরীরে কী কী ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।

শরীরে স্টিফনেস এবং ব্যথা

সকালবেলা এসির কারণে শরীরে স্টিফনেস ও ব্যথা হয়। যদি আপনার সঙ্গে প্রতিদিন এটা ঘটতে থাকে তবে বুঝুন আপনার হাড় এসির নিম্ন তাপমাত্রা সহ্য করতে পারছে না এবং এটি দীর্ঘমেয়াদে আপনার শরীরে ব্যথার একটি গুরুতর কারণ হয়ে উঠতে পারে।

শ্বাসকষ্ট

এসির তাপমাত্রা খুব কম রেখে ঘুমালে শ্বাসতন্ত্রের উপরও খারাপ প্রভাব পড়ে। আসলে, এসির ঠাণ্ডা বাতাস প্রায়ই শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন অংশে জ্বালাতন করে। আর এমন পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই শুরু হতে পারে কাশি, বুকে ব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা।

ত্বক থেকে চোখ পর্যন্ত শুষ্কতা

এসি শুধু তাপমাত্রাই কমায় না, ঘরে উপস্থিত আর্দ্রতাও কমায়। আর এ কারণে প্রতিদিন এসি চালিয়ে ঘুমালে ত্বক ও চোখের শুষ্ক হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। চুলকানি ও ফুসকুড়ির মতো সমস্যাও হতে পারে। তাই আপনি যদি আপনার ত্বক ও চোখের যত্ন নিতে চান, তাহলে আজ থেকেই প্রতি রাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা এসি চালানোর ভুল শুধরে নিন। পরিবর্তে, ৩-৪ ঘন্টা এসি চালানোর পরে, এটি বন্ধ করুন এবং ফ্যানটি চালু করুন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে

সারাক্ষণ এসিতে থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। কারণ দীর্ঘক্ষণ ঠাণ্ডা লাগার ফলে রক্তনালীগুলো সঙ্কুচিত হয় এবং এর কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিকমতো কাজ করতে পারে না।

এলার্জি ফুসকুড়ি

এসি-তে থাকা ধুলোবালি ও ময়লা নাক-মুখ দিয়ে প্রবেশ করে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস-এর মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে। অতএব, এসি একবার চালিয়ে ঘর ঠান্ডা করে ফ্যান চালিয়ে ঘুমান রাতে। শরীর থাকবে সুস্থ।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।