সংক্ষিপ্ত

৬ মাস পর শিশুদের ডায়রিয়ার সমস্যা কিছুটা বেড়ে যায়। কারণ এই বয়সে শিশুদের সঠিক বিকাশের জন্য তাদের মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিপূরক খাবার খাওয়ানো উচিত।

 

ডায়রিয়া একটি সাধারণ সমস্যা যা ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাল বা পরজীবী সংক্রমণ, দূষিত খাবার বা পানীয় গ্রহণ বা ওষুধের কারণে হতে পারে। ৬ মাস পর শিশুদের ডায়রিয়ার সমস্যা কিছুটা বেড়ে যায়। কারণ এই বয়সে শিশুদের সঠিক বিকাশের জন্য তাদের মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিপূরক খাবার খাওয়ানো উচিত।

যেহেতু ডায়রিয়ার সময় শরীরে জলের ঘাটতি হয়, তাই এই সময়ে খাবারের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। এমনকি আপনি যদি আপনার শিশুকে প্রতিদিন দুধ দেন, তাও কয়েকদিন বন্ধ রাখতে হবে।

ডায়রিয়া হলে দুধ পান করা উচিত কি না?

এক্ষেত্রে সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ডায়রিয়ার সময় দুধ পান করা উপকারী নয়। দুধে ল্যাকটোজ নামক শর্করা থাকে যা হজম করার জন্য শরীরের ল্যাকটেজ নামক এনজাইমের প্রয়োজন হয়। ডায়রিয়ার সময় অনেকের মধ্যে ল্যাকটেজ উৎপাদন কমে যায়, যার কারণে ল্যাকটোজ সঠিকভাবে হজম হয় না এবং ডায়রিয়ার সমস্যা আরও বাড়তে পারে। 

ভাজা খাবার-

শিশুর ডায়রিয়া হলে তাকে কখনই তৈলাক্ত ও মশলাদার খাবার দেওয়া উচিত নয়। এই খাবার হজম প্রক্রিয়া নষ্ট করে ডায়রিয়া বাড়াতে পারে।

 

শাকসবজি-

তবে বাঁধাকপি, ফুলকপি ও ব্রকলির মতো শাক-সবজি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। কিন্তু ডায়রিয়ার সময় এটি খাওয়া উচিত নয়। আসলে, এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা ডায়রিয়া বাড়াতে পারে।

মটরশুটি-

ডাল, কিডনি বিন, ছোলা ইত্যাদিতেও প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এছাড়া এটি হজম হতেও বেশি সময় লাগে, যার কারণে ডায়রিয়ার সময় এটি খাওয়া ক্ষতিকর।

ফল-

কিছু ফল, যেমন কমলা, আঙ্গুর এবং আনারসে উচ্চ অম্লতা থাকে, যা ডায়রিয়াকে আরও খারাপ করে তুলতে পারে। একটি ব্যতিক্রম হল কলা, যা ডায়রিয়ায় খাওয়া যেতে পারে কারণ এটি পটাশিয়ামের একটি ভাল উৎস।

ক্যাফিন এবং কার্বনেটেড পানীয়-

চা, কফি এবং কোল্ড ড্রিংকসে ক্যাফেইন থাকে। এই কারণেই শরীরে অতিরিক্ত জল জমে যা ডায়রিয়াকে আরও তীব্র করে তুলতে পারে।

জাঙ্ক ফুড-

জাঙ্ক ফুড, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং মিষ্টিও এড়িয়ে চলতে হবে। এর পরিবর্তে ডায়রিয়ার সময় হালকা ও সহজে হজমযোগ্য খাবার খেতে হবে।