সংক্ষিপ্ত

স্বাস্থ্য মন্ত্রক সম্প্রতি রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে একটি বৈঠকও করে। সেখানে রাজ্য সরকারগুলিকে H1N1 কেস নিয়ে যেসব স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছেন তাদের টিকা নিশ্চিত করার নির্দেশ নির্দেশ দিয়েছে।

 

সম্প্রতি ভারতে বেশ কয়েকটি রাজ্যে বার্ড ফ্লু প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এতদিন ধরে ধারনা ছিল শুধুমাত্র প্রাণীর দেহেই বার্ডফ্লুর সংক্রমণ হয়। কিন্তু সম্প্রতি গরুর দুধেও এই সংক্রমণ পাওয়া যায়। এই নিয়ে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রক ইনফ্রুয়েঞ্জার মত অসুস্থতার ওপর নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে। কারণ সম্প্রতি ফ্লুর সংক্রমণ বাড়ছে। অল্পবয়সী ও বৃদ্ধদের ইনফ্রুয়েঞ্জয়ার সংক্রমণ দ্রুত হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মন্ত্রক বলেছে, সিজনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং বার্ড ফ্লু উভয়ের ক্ষেত্রেই পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে; এবং "এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রক সম্প্রতি রাজ্য সরকারগুলির সঙ্গে একটি বৈঠকও করে। সেখানে রাজ্য সরকারগুলিকে H1N1 কেস নিয়ে যেসব স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছেন তাদের টিকা নিশ্চিত করার নির্দেশ নির্দেশ দিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের কেরল ও ঝাড়খণ্ডে দ্রুত ছড়াচ্ছে বার্ড ফ্লু।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের আধিকরিকদের পাশাপাশি মতে ভারতের পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বভিন্ন রাজ্যে গবাদি পশু ও দুধেও এভিয়ান ইনফ্রুয়েঞ্জা ভাইরাস পাওযা গেছে। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্র একটি মুরগির মাংস আর দুধ খাওয়ার নিয়ম জানিয়েছে। মূলত বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার দুধ ও মাংস খাওয়ার নিয়মনীতির কথাই বলেছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, ২০০৭ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত মানুষ থেকে মানুষের দেহে এই রোগের সংক্রমণের কোনও তথ্য তাদের হাতে নেই।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, বার্ডফ্লুর সংক্রমণ এড়াতে মূলত পাস্তুরিত দুধ খাওযার পরামর্শ দিয়েছে। দুধ খুব ভাল করে ফুটিয়ে তারপর খাওয়া ভাল বলেও পরামর্শ দিয়েছে। দুধের মতই মাংসও দীর্ঘ সময় ধরে রান্না করে তারপর খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মাংস ভাল করে সিদ্ধ করে বা ভাল করে রান্না করে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

যদিও সিজনাল ইনফ্লুয়েঞ্জা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস সংক্রমিত হলে তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, ইনফ্লুয়েঞ্জা A বা H1N1 এর প্রথম কেস ২০০৯ সালে সনাক্ত করা হয়েছিল। প্রতি বছরই ভারতে ইনফ্লুয়েঞ্জা দুইবার হয়। একটি জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত অন্যটি বর্ষার পরে। তবে এখনও পর্যন্ত দেশে ইনফ্লুয়েঞ্জার পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়নি।