সংক্ষিপ্ত

তুলসী পাতা, যা অত্যন্ত পবিত্র বলে বিবেচিত, আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এই পাতাগুলি কীভাবে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধান করতে পারে তা দেখে নেওয়া যাক।

সাধারণত প্রতিটি বাড়ির সামনেই তুলসী গাছ থাকে। তুলসী পাতা ব্যবহার করলে কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা ইত্যাদি ছোটখাটো শারীরিক সমস্যা দ্রুত উপশম হয়। এই উদ্দেশ্যে, আপনি এগুলো চিবিয়ে খেতে পারেন অথবা চায়ের সাথে মিশিয়ে পান করতে পারেন। তবে, ডাক্তাররা বলছেন যে তুলসী পাতা পেটের সমস্যাও দূর করতে পারে। এ বিষয়ে এখন আলোচনা করা যাক। 

পেটের সমস্যার জন্য তুলসী পাতা

তুলসী পাতায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং প্রদাহ-বিরোধী উপাদান রয়েছে। এগুলি আমাদের অনেক রোগ থেকে রক্ষা করে। বিশেষ করে, তুলসী পাতা পেট ফাঁপা, গ্যাস, বদহজম ইত্যাদি পেটের সমস্যা দ্রুত নিরাময়ে সাহায্য করে। 

পাচনক্রিয়া উন্নত করে

তুলসী পাতা খেলে আমাদের পাচনতন্ত্র ভালোভাবে কাজ করে। ফলে, পাচনতন্ত্রের সমস্যা দেখা দেয় না। তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে পাচক রসের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। এতে পাচনক্রিয়া স্বাভাবিক হয়।

অন্ত্রের স্বাস্থ্য 

তুলসী পাতা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও সাহায্য করে। নিয়মিত খাবারের সাথে এটি যোগ করলে আপনার পাকস্থলীর এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। পেটের সমস্যাও কমে যাবে। 

তুলসী পাতা কিভাবে ব্যবহার করবেন?

এক কাপ গরম তুলসী চা পান করলে পেটের সমস্যা কমে যায়। এজন্য আপনাকে খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না। প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি নিয়ে গরম করুন। কিছু তুলসী পাতা নিয়ে ৫-১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। ব্যাস, তুলসী চা তৈরি।

তুলসী পেস্ট

পেটের সমস্যা কমাতে তুলসী পেস্টও ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য, কয়েকটি তুলসী পাতা নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি সরাসরি আপনার পেটে লাগান। এটি করলে পেট ফাঁপা দ্রুত কমে যাবে।

প্রাচীনকাল থেকেই সর্দি, কাশি, ঠাণ্ডা লাগা ইত্যাদি নানা সমস্যায় তুলসী ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ঠাণ্ডা ও সর্দিজনিত যে কোনও সমস্যায় তুলসী রস ও মধু একত্রে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এই গাছের রস কৃমি ও বায়ুনাশক।ঔষধ হিসাবে এই গাছের ব্যবহার্য অংশ হলো এর রস, পাতা এবং বীজ। আয়ুর্বেদ ও ভেষজ চিকিৎসায় তুলসীর ব্যাপক ব্যবহার বয়েছে, বিশেষত ভারতীয় উপমহাদেশে।

ঠাণ্ডা বা গরমে ঘোরা বা অতিরিক্ত ঠাণ্ডা বা গরমে চোখ ওঠে। রোগটি সঃক্রামক। একজনের হলে বাড়ি শুদ্ধ সকলেরই হয়।ঐ সময় তুলসী পাতার রস কাজলের মত চোখে দিলে বা মধু মিশিয়ে তা চোখে দিলে চোখ ওঠা, চোখে দিয়ে জল পড়া বন্ধ হয়।