ভুলেও কাঁচা দুধ ফ্রিজের ভিতর রাখবেন না! মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে শরীরের
- FB
- TW
- Linkdin
দেশ জুড়ে ঘরে ঘরে গরুর দুধ পান একটা অভ্যাস। আগে মানুষ দুধ কিনে সেদ্ধ করে অল্প অল্প করে ব্যবহার করত।
এখনকার দিনে কেনার পরেই ফ্রিজে রেখে দিয়ে প্রয়োজন মতো ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এটি খুব একটা ভালো অভ্যাস নয়।
যদি গরু বা মহিষের কোনও সংক্রমণ থাকে, তাহলে তার ভাইরাস দুধেও থাকবে। আপনি যদি দুধ ভালো করে না ফোটান অথবা দুধ কিনে সরাসরি ফ্রিজে রাখেন, তাহলে সেই ভাইরাস জীবিত থাকবে।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কাঁচা দুধ ঠান্ডা করলে, তাতে জ্বর সৃষ্টিকারী ভাইরাস ৫ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে।
ভাইরাসের ঝুঁকি
শীতকালে জ্বর সৃষ্টিকারী ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস কাঁচা দুধে অনেক দিন বেঁচে থাকতে পারে বলে গবেষণায় দেখা গেছে। ঋতু পরিবর্তনের সময় সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়া স্বাভাবিক। এই সময়ে গরুতে বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। গরুর দুধ বা মহিষের দুধ যাই হোক না কেন, তা ভালো করে ফোটাতে হবে। ফোটানো দুধই ফ্রিজে রাখতে হবে।
দুধ কেন ফোটাতে হবে?
কাঁচা দুধ পান করলে বার্ড ফ্লু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ, তাতে যদি ভাইরাস থাকে, তাহলে তা আপনাকে আক্রান্ত করতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, দুধ ফোটালে তাতে থাকা ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংস হয়। কাঁচা দুধ পান করলে সংক্রমণ হতে পারে।
কাঁচা দুধে কি পুষ্টি বেশি?
অনেকে মনে করেন, ফোটানো দুধের চেয়ে কাঁচা দুধে বেশি পুষ্টি, এনজাইম এবং প্রোবায়োটিক থাকে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় বলেও মনে করা হয়। কিন্তু এতে কোনও সত্যতা নেই।
আমেরিকান খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (FDA) জানিয়েছে, কাঁচা দুধ পান করলে ২০০ টিরও বেশি রোগ হতে পারে। কাঁচা দুধে ই. কোলাই, সালমোনেলা সহ বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়া শিশু, বৃদ্ধ, গর্ভবতী মহিলা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা ব্যক্তিদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
গবেষকরা দেখেছেন, ফ্লু ভাইরাসের আরএনএ ৫৭ দিন পর্যন্ত কাঁচা দুধে থাকতে পারে। দুধ ফোটালে ভাইরাস সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়। বার্ড ফ্লুর মতো সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার সময় কাঁচা দুধ পান করা একেবারেই উচিত নয়।