সংক্ষিপ্ত
পুজোয় ঠাকুর দেখতে ঘাম ঝরবে। রোদে বের হলে ঠান্ডা পানীয় বা আইসক্রিম তো মাস্ট। আর সেখান থেকেই যত উৎপাত। এতে গলা ব্যথা, কাশি হতে পারে।
এখন রাতের দিকে একটু শিরশিরে ঠান্ডা হাওয়া অনুভব করা যায়। পুজো যত এগোচ্ছে, বদলাচ্ছে আবহাওয়াও। সারাদিন সূর্যের আলো থাকলেও সকাল ও রাতে শিশির ভেজা ভাব থাকছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় সর্দি এবং ফ্লু খুব সাধারণ রোগ। এখন ঘরে ঘরে সর্দি কাশি জ্বর। পুজোয় ঠাকুর দেখতে ঘাম ঝরবে। রোদে বের হলে ঠান্ডা পানীয় বা আইসক্রিম তো মাস্ট। আর সেখান থেকেই যত উৎপাত। এতে গলা ব্যথা, কাশি হতে পারে। তাছাড়া, ভিড়ের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ এড়ানো খুব একটা সম্ভব নয়। কিন্তু জ্বর ও সর্দি থেকে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব। পুজোর সময় রোগ থেকে নিজেকে রক্ষা করার কিছু টিপস এখানে দেওয়া হল।
১. খাওয়ার আগে আপনার হাত ধুয়ে নিন। তাই ২০ সেকেন্ডের জন্য আপনার হাত সাবান এবং জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে পারে। রাস্তায় হাত ধোয়ার উপায় না থাকলে স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
২. আপনি যদি পূজার সময় অসুস্থ হতে না চান তবে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করুন। পর্যাপ্ত ঘুম, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়াম—এই কয়েকটি জিনিস—আপনার দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি আপনার ইমিউন সিস্টেমকেও জোরদার করবে।
৩. পুজোর আগে হোক বা চলাকালীন ডায়েটে অবহেলা করলে রোগের আশঙ্কা বাড়বে। ডায়েটে ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, প্রোবায়োটিক এবং জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। এই পুষ্টিগুণ আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। এটি বিশেষ করে জ্বর এবং ঠান্ডার মতো ভাইরাল সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে।
৪. আপনি যত বেশি ভিড় এড়ান, আপনার স্বাস্থ্যের জন্য তত ভাল। ভিড়ের মধ্যে অনেক লোকের ঘাম শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়। কিন্তু বছরের এই কয়েকটা দিনে কেউ প্যান্ডেল হপিং মিস করতে চায় না। এই ক্ষেত্রে কোভিড সুরক্ষার নিয়মগুলি অনুসরণ করা ভাল। অর্থাৎ মাস্ক ব্যবহার করুন। এতে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়ানো যাবে।
৫. দরজার হাতল, সুইচ, কমোডের ফ্লাশ ইত্যাদি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত জায়গা এবং এখানেই জীবাণু লুকিয়ে থাকে। তাই এগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করুন। এছাড়াও, বাড়ির এই অংশগুলি ব্যবহার করার পরে আপনার হাত ধুয়ে নিন। এই নিয়ম ফোনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় এবং এটি জীবাণুকেও আশ্রয় দেয়।