সংক্ষিপ্ত
প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিলেন ডাক্তার দেবী শেঠি। এবার সাধারণ মানুষের জন্য স্বাস্থ্য বীমা চালু করতে চলেছেন ডাক্তার দেবী শেঠি (Dr. Devi Shetty)।
প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিলেন ডাক্তার দেবী শেঠি। এবার সাধারণ মানুষের জন্য স্বাস্থ্য বীমা চালু করতে চলেছেন ডাক্তার দেবী শেঠি (Dr. Devi Shetty)।
বলা যেতে পারে, সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এই অভাবনীয় উদ্যোগ নিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই কর্নাটকে, নারায়ণার কয়েকটি শাখায় এই পরিষেবা চালু করা হয়েছে। আর এবার খুব তাড়াতাড়ি সমগ্র ভারত জুড়ে এই পরিষেবা চালু করতে চলেছেন ডাক্তার দেবী শেঠি।
মাসিক মাত্র ১০০০ টাকারও কম প্রিমিয়ামে এই স্বাস্থ্য বীমা থেকে পাওয়া যাবে প্রায় ১ কোটি টাকার কভারেজ। বিখ্যাত ডাক্তার দেবী শেঠির নারায়ণা হেল্থ এই স্বাস্থ্য বীমাটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে এই স্বাস্থ্য বীমাটি চালু করা হয়েছে মূলত ৩টি এলাকায়। মাইসোর, মন্ড্য এবং চমরাজ নগর এলাকায়। এই তিনটি এলাকায় অগ্রগতির উপর নির্ভর করে খুব শীঘ্রই বেঙ্গালুরুতে এই স্বাস্থ্য বীমাটি চালু করার চেষ্টায় রয়েছে নারায়ণা হেল্থ।
তারপর বেঙ্গালুরুতে এই প্রকল্পের সফলতা কেমন হয়, তা খতিয়ে দেখবেন তারা। এই উদ্যোগ কতটা সাড়া ফেলতে পারে সাধারণ মানুষের মধ্যে এবং সাধারণ মানুষের কাছে এই স্বাস্থ্য বীমার গ্রহণযোগ্যতা কতটা, এই সবকিছুর উপর নির্ভর করেই বাকি সিদ্ধান্ত নেবেন তারা। তারপরেই একটু একটু করে সারা দেশে এই স্বাস্থ্য বীমা প্রকল্পটি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ডাক্তার দেবী শেঠির (Dr. Devi Shetty) এই নতুন উদ্যোগ চালু হয়েছে গত ১ লা জুলাই, ২০২৪ থেকে।
এই প্রকল্পটির নাম ‘অদিতি’। এই বীমা প্রসঙ্গে ডাক্তার দেবী শেঠি জানিয়েছেন, “প্রতি বছর প্রায় ৭ কোটি মানুষের অস্ত্রপচারের প্রয়োজন পড়ে নানা কারণে। কিন্তু তার মধ্যে মাত্র ২ কোটি মানুষ অস্ত্রপচার করতে সক্ষম হয়। বাকি ৪ কোটি মানুষের মধ্যে বেশিরভাগই আর্থিক কারণে পিছিয়ে পড়েন। বিশেষ করে সিজারিয়ান মেথড, ফ্যাকচার অপারেট অথবা ল্যাপরোটমি চিকিৎসা করাতে পারেন না সাধারণ মানুষ। এই সমস্যা দূর করতে নেওয়া হয়েছে এই নতুন উদ্যোগ।”
মূলত ১ টি এন্ট্রি লেভেল প্ল্যান রয়েছে এই বীমাটির ক্ষেত্রে। এমনটাই জানিয়েছেন নারায়াণা হৃদয়ালয়ের ভাইস চেয়ারম্যান বীরেন প্রসাদ শেঠি। এই বীমাটি মোট ৪ জন সদস্যযুক্ত ১ টি পরিবারকে কভারেজ দেবে। এই ৪ জনের মধ্যে অন্তত ১ জনের বয়স ৪৫ বছরের ঊর্ধ্বে হতেই হবে। আর এই প্রকল্পের জন্য বার্ষিক প্রিমিয়াম ধার্য করা হয়েছে মাত্র ১০ হাজার টাকা। অর্থাৎ, মাসিক ১০০০ টাকারও কম প্রিমিয়ামে পাওয়া যাবে ১ কোটি টাকার স্বাস্থ্য বীমা কভারেজটি।
সাধারণ চিকিৎসার ক্ষেত্রে সর্বাধিক ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কভারেজ পাওয়া যাবে এই স্বাস্থ্য বীমা (Health Scheme) প্রকল্পটি থেকে। যদি সার্জিক্যাল কেস হয়, সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্য বীমা থেকে কভারেজ পাওয়া যাবে প্রায় ১ কোটি টাকা পর্যন্ত।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।