সংক্ষিপ্ত
প্রতিদিন অতিরিক্ত দুধ পান করলে আপনার শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা নষ্ট করে দিতে পারে।
দুধ পান করা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। দীর্ঘ দিন ধরেই দুধ পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে। দুধে ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন রয়েছে- যা মানুষের শরীর আর হাড়কে শক্তিশালী করে। চিকিৎসকরা সকলেই দুধ পানের পরামর্শ দেন। কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন অতিরিক্ত দুধপান স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। রইল অতিরিক্ত দুধপানের সমস্যাগুলিঃ
প্রতিদিন অতিরিক্ত দুধ পান করলে আপনার শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা নষ্ট করে দিতে পারে। দুধে প্রচুর ফ্যাট এবং ক্যালরি পাওয়া যায় যা আপনার ওজন দ্রুত বাড়ায়। দুধে প্রচুর পরিমাণে ল্যাকটোজ যা , যা একটি প্রাকৃতিক চিনি। এটি শরীরে নানা সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই নিয়মিত পরিমাণ মত দুধ পান করা উচিৎঃ
৩ বছর পর্যন্ত শিশুর ৩০০-৫০০ মিলিলিটার দুধ প্রয়োজন
৪-১০ বছর পর্যন্ত শিশুর ৪০০-৬০০ মিলি লিটার দুধ প্রয়োজন
১১-১৮ বছর পর্যন্ত ৫০০-৭০০ মিলি লিটার দুধ প্রয়োজন
১৮ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য ১-২ গ্লাস দুধের প্রয়োজন রয়েছে।
অতিরিক্ত দুধ পানের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ
পেটের সমস্যা-
প্রতিদিন অতিরিক্ত দুধ পান করলে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। গ্যাস, পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগতে হয়। অত্যাধিক দুধ পান ভাল ও খারাপ ব্যাক্টেরিয়ার মধ্যে ভারসাম্যহীনতা নষ্ট করে দেয়।
হজমের সমস্যা-
অতিরিক্ত দুধ পান হজমের সমস্যা তৈরি করে। ল্যাকটোজের কারণে হজম শক্তি নষ্ট হয়ে যায়। দুর্বল হজমের কারণে বমি ও অস্থিরতা তৈরি হয়।
ত্বকের সমস্যা
অতিরিক্ত দুধ পানের কারণে ব্রণ এবং পিগমেন্টেশনের সমস্যায় ভুগতে হয়। যারা এজাতীয় সমস্যায় ভুগছে তাদের জন্য দুধ এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে চিকিৎসকরা।
লিভার সংক্রান্ত সমস্যা
লিভার সংক্রান্ত কোনো সমস্যা বা রোগ থাকে, তাহলে দুধ খাওয়া উচিত নয়। দুধে প্রচুর পরিমাণে চর্বি থাকে এবং এমন পরিস্থিতিতে লিভার ঠিকমতো দুধ হজম করতে পারে না যার কারণে লিভার ফুলে যেতে পারে।