কোলেস্টেরলের মাত্রা অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছে, মাছ খেয়েই সমস্যা মেটাতে পারেন
- FB
- TW
- Linkdin
শরীরে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা অত্যধিক বেড়ে গেলে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে
কোলেস্টেরল হল আমাদের শরীরে থাকা এক ধরনের চর্বি। কোলেস্টেরল দুই ধরনের হয়। খারাপ কোলেস্টেরল (কম ঘনত্বের লিপোপ্রোটিন) এবং ভালো কোলেস্টেরল (উচ্চ ঘনত্বের লিপোপ্রোটিন)। আজকাল স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা এবং খারাপ খাদ্যাভ্যাসের কারণে বেশিরভাগ মানুষই অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের সমস্যায় ভুগছেন। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ এবং স্ট্রোকের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
মাছে ভাতে বাঙালি, সেই মাছ খেয়েই শরীরে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো যেতে পারে
তবে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনলে সহজেই প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল কমানো যায়। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে কয়েক ধরনের মাছ রয়েছে, তা কি জানেন? আপনি যদি সেগুলিকে আপনার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেন, তাহলে শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে। কোন কোন মাছ সেগুলি, তা এখন এই পোস্টে দেখে নেওয়া যাক।
কোন মাছ খেলে স্বাভাবিকভাবে শরীরে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়?
কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্যকারী মাছ:
১. টুনা মাছ
এই মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এই অ্যাসিডগুলি হৃৎপিণ্ডের ধমনীতে জমা হওয়া এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
২. ট্রাউট মাছ
এই মাছেও ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এগুলি আমাদের শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখতে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
খাদ্যাভ্যাসে সামান্য বদল আনলেই শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো সম্ভব
৩. হেরিং মাছ
এই ধরনের মাছ EPA এবং DHA নামক দুই ধরনের অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিড সরবরাহ করে। এছাড়াও এগুলি শরীরে প্রদাহ কমাতে এবং হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও এই মাছ খেলে হাড় মজবুত থাকে।
৪. কানাঙ্গোলুথি মাছ
এই মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। এছাড়াও এই মাছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। এই মাছ শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
৫. মাঠি মাছ
এই মাছ ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের একটি ভালো উৎস। এই অ্যাসিড শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও এই মাছে ভিটামিন ডি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, সেলেনিয়াম, ফসফরাসের মতো খনিজ থাকে, যা শরীরে রক্তের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।