সংক্ষিপ্ত

কিডনিতে পাথর হওয়া একটি সাধারণ সমস্যা, যা অনেক কষ্টদায়ক। এই সমস্যার অনেক কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল বাদাম খাওয়া। 
 

বাদাম স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বাদামে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ থাকে। এগুলো খেলে শরীরে অনেক পরিবর্তন আসে। বিশেষ করে রাতে ভিজিয়ে রাখা বাদাম খেলে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। 

উপকারিতা.. 

ভিজিয়ে রাখা বাদাম খেলে মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে। এতে থাকা ভিটামিন ই মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমাতেও বাদাম উপকারী। এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং ধমনীগুলোকে সুস্থ রাখে। ওজন কমাতে চাইলেও বাদাম খাওয়া উপকারী। 

বাদামে কার্বোহাইড্রেট কম থাকে এবং ফাইবার বেশি থাকে। এর ফলে পেট তাড়াতাড়ি ভরে যায় এবং ওজন কমে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও বাদাম উপকারী। এতে থাকা ফাইবার এবং প্রোটিন রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। 

পাথরের সমস্যা.. 

তবে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও বেশি বাদাম খেলে সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে বেশি বাদাম খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিডনির সমস্যা থাকলে বেশি বাদাম খাওয়া উচিত নয়। 

কারণ কি? 

বাদামে অক্সালেটের পরিমাণ বেশি থাকে। এটি ক্যালসিয়ামের সাথে মিশে কিডনিতে পাথর তৈরি করে। তাই বেশি বাদাম খেলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। যাদের হাইপারঅক্সালুরিয়া সমস্যা আছে, অর্থাৎ যাদের মূত্রে অক্সালেটের পরিমাণ বেশি, তাদের এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। 

কতটা খাওয়া উচিত? 

প্রতিদিন ৭-৮ টি ভিজিয়ে রাখা বাদাম খাওয়া যেতে পারে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ২-৩ টি বাদাম দেওয়া যেতে পারে। কিডনিতে পাথরের সমস্যা থাকলে বাদাম খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 

অন্যান্য কারণ.. 

কিডনিতে পাথর হওয়ার আরও কিছু কারণ আছে। সয়াবিনজাতীয় খাবার, বিভিন্ন ধরণের বিন, বেগুন, পালং শাক, টমেটো বেশি খেলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। কোল্ড ড্রিংকস এবং সোডা বেশি খেলেও কিডনিতে পাথর হতে পারে। 

পাথর কমানোর উপায়.. 

প্রতিদিন কমপক্ষে ২.৫ লিটার জল পান করা উচিত। খাবারে লবণ কম ব্যবহার করতে হবে। পালং শাক, টমেটো, বাঁধাকপি, ফুলকপি, মাংস, চিকেন বেশি খেলে কিডনিতে পাথর হতে পারে। 

বিঃদ্রঃ উপরের তথ্যগুলো সাধারণ তথ্য। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত যেকোনো সমস্যায় ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।