সংক্ষিপ্ত
অনেকেই স্যান্ডউইচ খেতে ভালোবাসেন।
অনেকেই হয়ত ভেবে থাকেন, শুকনো ২ টুকরো পাউরুটির এমন কী ক্ষমতা যে, তা খেলেই মেদের পরিমাণ অনেকটা বেড়ে যাবে? পুষ্টিবিদরা বলছেন, সব দোষটা কিন্তু পাউরুটির নয়। তবে সহজ কয়েকটি পন্থা জানা থাকলে, সহজেই এই খাবারটিকে স্বাস্থ্যকর করে তোলা যায়।
সাধারণ একটি স্যান্ডউইচকে স্বাস্থ্যকর বানাবেন কীভাবে?
১) ময়দার বদলে হোলগ্রেন, মাল্টিগ্রেন অথবা আটা দিয়ে তৈরি পাউরুটি ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজে ভরপুর এই পাউরুটির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশ কম। তাই এটি খেলে চট করে রক্তে শর্করা বেড়ে যায় না এবং অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেটও ভর্তি থাকে।
২) স্যান্ডউইচের ফিলার হিসাবে হ্যাম, বেকন, সালামি, সসেজ বা চিজ় ব্যবহার না করে গ্রিল্ড চিকেন, সেদ্ধ ডিম, পনির, সেদ্ধ ছোলা কিংবা অ্যাভোকাডো ব্যবহার করা যেতে পারে।
৩) অন্যদিকে, দুটি পাউরুটির মাঝে চিজ়ের স্লাইস না দিয়ে পালংশাক, লেটুস, টম্যাটো, শসা, বেল পেপার দেওয়া যেতে পারে। ফলে, খেতেও ভালো হবে। সেইসঙ্গে, এই ধরনের স্যান্ডউইচ স্বাস্থ্যের দিকেও খেয়াল রাখবে।
৪) স্যান্ডউইচের মধ্যে মাখন, মেয়োনিজ় কিংবা স্প্রেড থাকলে, তা শরীরে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ক্যালোরির মাত্রা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়। তার বদলে পাউরুটিতে গ্রিক ইয়োগার্ট, ম্যাস্ড অ্যাভোকাডো মাখিয়ে নিলে স্বাদ এবং স্বাস্থ্য দুটিরই খেয়াল রাখা যায়।
৫) চিজ়ে ক্যালোরি এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট, এই দুটির মাত্রা অনেকটাই বেশি। তবে চিজ় তো নানা ধরনের হয়। পুষ্টিবিদরা বলছেন, চিজ়ের এমন কিছু প্রকার রয়েছে, যেগুলিতে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ক্যালোরির মাত্রা অন্যগুলির তুলনায় আবার কম। তাই চিজ় কেনার সময় অবশ্যই সতর্ক থাকা উচিত।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।