চোখের অ্যালার্জি এবং কনজেক্টিভাইটিসের মধ্যে পার্থক্য, লক্ষণ, এবং প্রতিকার সম্পর্কে জানুন। চোখের চুলকানি, জ্বালাপোড়া, পাতা ফুলে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় জেনে নিন।

আবহাওয়ার অনেক পরিবর্তন হচ্ছে, এমন পরিস্থিতিতে চোখ ও ত্বকের সংক্রমণের সমস্যা অনেক বেশি কষ্ট দিচ্ছে। অনেক সময় বোঝা যায় না চোখের রোগের কারণ অ্যালার্জি নাকি কনজাংটিভাইটিস। আজ আমরা এই দুটির মধ্যে পার্থক্য জানবো, চোখের অ্যালার্জি এবং কনজেক্টিভাইটিসের মধ্যে একটি সাধারণ উপসর্গ রয়েছে।

চোখের এলার্জি কি?

চোখের অ্যালার্জি, কনজাংটিভাইটিস বা কনজাংটিভাইটিস একই। এই সব রোগে চোখ গোলাপি হয়ে যায়। যে কোনও কারণে চোখে অ্যালার্জি হতে পারে। যেমন, চোখে কেমিক্যাল পাওয়া, চোখে প্রভাব পড়া, অ্যালার্জি এড়াতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার যত্ন নিতে হবে। এছাড়াও, যখনই আপনি চুলকানি বা চোখ জল অনুভব করেন, তখন আপনার পেট স্পর্শ করা এড়িয়ে চলতে হবে।

চোখের অ্যালার্জির লক্ষণগুলি কী কী?

চোখের পাতা ফুলে যাওয়া

ঝাপসা দৃষ্টি

চোখে চুলকানি

চোখে জ্বালাপোড়া

চোখে এলার্জি থাকলে কি করবেন-

প্রথমত, আপনার অ্যালার্জি ডাক্তারকে দেখান যাতে এটি বেড়ে না যায়। এবং সঠিক ওষুধ খান।

চোখে অ্যালার্জি থাকলে কোল্ড কম্প্রেস খুব উপকারী বলে মনে করা হয়। তাই এটি ব্যবহার করুন।

চোখে অ্যালার্জি থাকলে চোখের বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার। এটি ঢেকে রাখুন বা পাশাপাশি চশমা পরুন।

চোখে ইনফেকশন থাকলে পরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহার করুন। বারবার চোখ ঘষা এড়িয়ে চলতে হবে।

কনজেক্টিভাইটিস-

কনজেক্টিভাইটিসকে গোলাপী চোখও বলা হয়। এটাকে আপনি ইনফেকশন বলতে পারেন। এই সংক্রমণ চোখের সাদা অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য, ডাক্তাররা প্রায়শই অকুলার ড্রপ, ওরাল পিল, স্টেরয়েড বা গুরুতর ক্ষেত্রে ইমিউনোথেরাপি দিতে পারেন।

কনজেক্টিভাইটিসের লক্ষণ

কনজাংটিভাইটিসের কারণে চোখের রঙ গোলাপী হয়ে যায়

এই সংক্রমণ হওয়ার সাথে সাথে চোখে সংবেদন অনুভূত হতে পারে

সেই সঙ্গে চুলকানির সমস্যাও শুরু হয়

চোখ থেকে প্রচুর জল আসে

সেই সঙ্গে চোখে জ্বালাপোড়াও হয়।

কনজেক্টিভাইটিস হলে কি করবেন

কনজাংটিভাইটিসের কারণে বারবার চোখ স্পর্শ করা ঠিক নয়

কোনও কাপড় দিয়ে চোখ ধুবেন না

চোখ এবং এর চারপাশের এলাকা পরিষ্কার রাখুন