সংক্ষিপ্ত

ইউরিক অ্য়াসিড বেড়ে যাওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা দেখা দেয়। পাশাপাশি ত্বকের সমস্যাও দেখা দেয়। বাতের অন্যতম কারণ হল ইউরিক অ্য়াসিড।

 

ইউরিক অ্যাসিডের প্রভাব যে কোনও মানুষের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ইউরিক অ্যাসিড হল একধরনের রাসায়নিক যা ফিল্টার করে কিডনি থেকে অপসারিত হয়। তবে অতিরিক্ত প্রোটিন জাতীয় জিনিস খাওয়ার জন্য ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। কিডনি ওই ইউরিক অ্যাসিড শরীর থেকে বের করে দিতে পারে না। সেগুলি হাড়ের মধ্যে জমা হয়। গাঁটে গাঁটে ব্যাথা হয়। পা - হাত ফুলে যায়। ক্র্যাম্প হয়। ইউরিক অ্য়াসিড বেড়ে যাওয়ার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের মত সমস্যা দেখা দেয়। পাশাপাশি ত্বকের সমস্যাও দেখা দেয়। বাতের অন্যতম কারণ হল ইউরিক অ্য়াসিড। তবে ইউরিক নিয়ন্ত্রণে রাখার ৪টি প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে।

১. জলপান

শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্য়াসিড বের করে দেওয়ার জন্য প্রচুর পরিমাণে জল পান করা একটি প্রাকৃতিক উপায়। দিন দুই লিটার জল পান করলে ইউরিক অ্যাসিড কমতে পারে। অ্যালকোহল কিন্তু ইউরিক অ্যাসিড বাড়াতে সাহায্য করে। তাই অ্যালকোহল পুরোপুরি বর্জন করতে হবে।

২. পিউরিন বর্জন

খাবারে অতিরিক্ত পিউরিন থাকলে তা ইউরিক অ্যাসিডের মাত্র বাড়িয়ে দেয়। সেই জন্য পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার, শেলফিস , মাশরুম কম খাবেন। অ্য়ালকোহলে প্রচুর পিউরিন থাকে। তবে চর্বি বিহীন মাংস আর ফলমূল শাকসবজি প্রচুর পরিমাণে খান।

৩. ব্যায়ম

শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড কমাতে হলে আপনাকে সক্রিয় হতে হবে। প্রতিদিন ব্যায়াম করুন যাতে ইউরিক অ্যাসিড নিজে থেকেই কমতে শুরু করে।

৪. আমলকির রস

প্রতিদিন সীমিত পরিমাণে আমলার রস খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়। এটি ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে এবং ইউরিক অ্যাসিড কমায়।

তবে যাদের ইউরিক অ্যাসিড রয়েছে তারা যদি এই প্রাকৃতিক উপায়গুলি মেনে চলেন তাহলে আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।