সংক্ষিপ্ত

দীপাবলিতে বাজি ফাটাতে গিয়ে হাত পুড়ে গেলে কী করবেন? জেনে নিন সহজ ঘরোয়া প্রতিকার। পোড়া স্থানে জল দেবেন না, বরফ দেবেন না। টুথপেস্ট, অ্যালোভেরা, সালফাডিয়াজিন ক্রিম উপকারী।

চারিদিকে আলোর রোশনাই। মণ্ডপে মণ্ডপে পুজিত হচ্ছেন মা কালী। সর্বত্র আজ আনন্দের উৎসব। এই সময় সকলেই দুঃখ ভুলে আনন্দে মেতে ওঠেন। টানা কদিন ধরে চলে উৎসব। ধনতেরাস থেকে ভাই ফোঁটা কদিন ধরে উৎসবে গা ভাসান সারা দেশ। প্রতিবার এই দীপাবলিতে বাজি ফাটানো মাস্ট। এই বাজি ফাটাতে গিয়ে অনেক সময় ঘটে বিপত্তি। অসাবধানতার কারণে হাত জ্বলে যাওয়া নতুন বিষয় নয়। এমন সমস্যা দেখা দিলে ভুলেও দেবেন না জল। এতে বাড়তে পারে সমস্যা। ক্ষত নিরাময় করুন সহজ উপায়।

পোড়া স্থানে টুথপেস্ট লাগান। সঙ্গে সঙ্গে জ্বালা কমে যাবে। তেমনই ফোসকা পড়বে না। এই টোটকা বেশ প্রচলিত।

তেমনই পোড়া স্থানে ভুলেও ব্যান্ডেজ করবেন না। এতে আরও জটিলতা দেখা দিতে পারে। আরও বেড়ে যেতে পারে সমস্যা।

পোড়া স্থান ঠান্ডা জল দিয়ে ধুতে পারেন। প্রথমে ঠান্ডা জল দিয়ে ক্ষত ধুয়ে নিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য ঠান্ডা জল দিয়ে থাকুন। মিলবে উপকার।

পোড়া স্থানে ভুলেও বরফ দেবেন না। তার বদলে ঠান্ডা জল দিয়ে মিলবে উপকার। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। তা না হলে সমস্যা বাড়তে পারে।

তেমনই পোড়া স্থানে নারকেল তেল বা অন্য কোনও ক্রিম না লাগানোই ভালো। সালফার জাতীয় মলম লাগিয়ে নিন। এতে জ্বালাও কমবে তেমনই ফোসকা পড়বে না।

পোড়া স্থানে অ্যালোভেরা জেল লাগাতে পারেন। এটি অ্যান্টি সেপটিকের কাজ করে। তেমনই সালফাডিয়াজিন ক্রিম লাগালেও মিলবে উপকার।

তবে, দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। অবহেলা করলে হতে পারে ক্ষতি। ঘরে প্রাথমিক চিকিৎসা করে ডাক্তারি পরামর্শ নিন।

তেমনই বাজি পোড়ানো সময় সিল্কের জামা পরবেন না। এতে আগুন লেগে যেতে পারে। বাজি থেকে বাচ্চাদের দূরে রাখুন। নিজেও বাজি পোড়ানোর সময় সতর্ক থাকুন।