সংক্ষিপ্ত

শীতকালে বিছানা ছাড়া কঠিন, বিশেষ করে সকালে তাড়াতাড়ি উঠতে হলে। কিছু সহজ টিপস ব্যবহার করে, যেমন পর্দা খোলা রাখা, মুখে ঠান্ডা জল দেওয়া, পর্যাপ্ত ঘুম, এবং অ্যালার্ম সঠিকভাবে ব্যবহার করে আপনি শীতেও সকালে সহজে উঠতে পারবেন।

  শীতকালে বিছানা ছেড়ে উঠতে ইচ্ছা করে না। সকাল হোক বা রাত, কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকতে ইচ্ছা করে। কিন্তু সকালে সময়মতো ওঠা এবং দিনচর্যা শুরু করা খুবই জরুরি। অফিসে যাওয়া মানুষেরা সকালে তাড়াতাড়ি ওঠেন, একইভাবে গৃহিণীদেরও রান্না করার জন্য তাড়াতাড়ি উঠতে হয়। ছোট বাচ্চাদেরও স্কুলে যাওয়ার জন্য উঠতে হয়। এমতাবস্থায় শীতকালে সকালে কীভাবে উঠবেন তা নিয়ে ভাবতে ভাবতেই অর্ধেক সময় চলে যায়। তবে আপনাকে বেশি চিন্তা করার দরকার নেই। কিছু বিষয় মাথায় রাখলে সকালে ঝামেলা ছাড়াই উঠতে পারবেন।

সকালে তাড়াতাড়ি ওঠার টিপস

পর্দা খোলা রেখে ঘুমানো

শীতকালে সকালে পর্দা বন্ধ থাকলে ঘরে অনেক অন্ধকার থাকে। অন্ধকারে উঠতে ইচ্ছা করে না। তাই সম্ভব হলে জানালার পর্দা খুলে ঘুমান। এতে ঘরে আলো থাকবে এবং ঘুম থেকে উঠতে সাহায্য করবে।

মুখে ঠান্ডা জল দেওয়া

শীতকালে ঠান্ডা জলে হাত দেওয়াও আমাদের পছন্দ হয় না। তাই যদি আপনি ঠান্ডা জল মুখে দেন তাহলে ঠান্ডা কমে যেতে পারে। এতে ঘুম তাড়াতাড়ি ভেঙে যায়। যখন অ্যালার্ম বাজবে তখনই একটু জল মুখে দিন।

পর্যাপ্ত ঘুম

রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে সকালে উঠতে সমস্যা হয়। যদি আপনার ঘুম অসম্পূর্ণ থাকে তাহলে শীতকালে সকালে সময়মতো ওঠা সম্ভব হয় না। তাই শীতকালে রাতে সময়মতো ঘুমান।

জোরে গান শোনা

যেমন মনোরম গান শুনে রাতে ভালো ঘুম হয়, তেমনি জোরে গান শুনে ঘুম ভাঙতে পারে। যখন অ্যালার্ম বাজবে তখন কিছু জোরে গান শুনতে পারেন।

অ্যালার্ম বন্ধ করবেন না

যদি আপনি অ্যালার্ম মিস করেন এবং তাকে স্নুজ করতে থাকেন তাহলে অ্যালার্ম শুনে প্রতিবার আপনার ঘুম ভেঙে যেতে পারে। যদি আপনি অ্যালার্ম বন্ধ করার কথা ভাবেন এবং পাঁচ মিনিট পর আপনাআপনি জেগে উঠবেন বলে ভাবেন, তাহলে এমন হতে পারে যে আপনি পরের ৩০-৪০ মিনিট ঘুমিয়েই থাকবেন এবং আপনার ঘুম ভাঙবে না। তাই অ্যালার্ম স্নুজ করুন কিন্তু বন্ধ করবেন না।