সংক্ষিপ্ত

বিশেষজ্ঞদের কথায় জিলিপি জন্ডিস থেকে মুক্তি দেয়। খালি পেটে জিলিপি খেতে এই রোগের হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যায়।

 

বাঙালির কাছে রথযাত্রা মানেই গরম গরম জিলিপি আর কুড়মুড়ে পাঁপড় ভাজা। প্রাচীনকাল থেকেই এই রীতি চলে আসছে। কিন্তু আপনি জানেন কি জিলিপি খাওয়ার প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। জিলিপির পুষ্টিগুণ এমন যাতে একাধিক রোগের হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যায়।

বিশেষজ্ঞদের কথায় জিলিপু জন্ডিস থেকে মুক্তি দেয়। খালি পেটে জিলিপি খেতে এই রোগের হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যায়। অনেকে শুধু শুধু কুড়মুড়ি জিলিপি খেতে ভাল বাসেন। অনেকে আবার মালাই বা রাবড়ি বা ক্ষীর দিয়ে জিলিপি খায়। বর্তমানে অনেকে আবার ফ্রেস ক্রিম দিয়েও জিলিপি খায়। মিষ্টি আটা, ভুট্টা ময়দা, ঘি, চিনি, বেকিং সোডা, দই, জাফরান থেকে প্রস্তুত করা হয়। গোটা দেশেই জিলিপি বিক্রি হয়। শেষপাতে মিষ্টি মুখের জন্য বাঙালিদের কাছে জিলিপির জুড়ি মেলা ভার। পাশাপাশি সন্ধ্যেবেলা আর সকাল বেলাও জিলিপি খায় অনেকে। দুধ বা দইয়ের সঙ্গেও এই দেশে জিলিপি খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের কথায় মাইগ্রেনেপ ব্যাথা থেকে মুক্তি দিতে পারে জিলিপি। দুধের সঙ্গে জিলিপি থেকেই মাইগ্রেনের ব্যাথা থেকে মুক্তি মেলে। গরম গরম জিলিপি খেলেও মাইগ্রেনের ব্যাথা মুক্তি পাওয়া যায়।

জিলিপু স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। প্রচুর টেনশনে থাকলে একটি বা দুটো জিলিপি খেতেই পারেন। এটি স্ট্রেস হরমন কমাতে পারে।

জিলিপি ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। যারা ওজন বৃদ্ধি করতে চায় তাদের কাছে জিলিপি সুপারফুড। এটি একটি মিষ্টি খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি রয়েছে। তাই রোজ খেলে দ্রুত ওজন বাড়ে। দুধের সঙ্গে দেশি ঘিয়ে ভাজা জিলিপি লাজবাব।!

জিলিপিতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ রয়েছে। এটে ফ্য়াট, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়া, সোডিয়াম, আয়রন ও ভিটামিন কয়েছে।

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ জিলিপি কখনই চিকিৎসার জন্য বা ওধুষ হিসেবে ব্যবহার করা যায় না। প্রয়োজনে টিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই জিলিপি খাওয়া উচিৎ।