সংক্ষিপ্ত

ক্যান্সারের মতোই প্রাণঘাতী এইচআইভি। এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে এইচআইভি-র কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। তবে আফ্রিকায় এ বিষয়ে গবেষণা অনেকদূর এগিয়েছে।

এইচআইভি সংক্রমণ রুখতে হলে বছরে ২ বার ইঞ্জেকশন নিলেই চলবে! ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সাফল্য পাওয়া গিয়েছে বলেই দাবি গবেষকদের। দক্ষিণ আফ্রিকা ও উগান্ডায় ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হয়েছে। এই গবেষণার ফল আশা জাগাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সাফল্যের দাবি খতিয়ে দেখছে। গবেষকদের দাবি ঠিক মনে হলে সারা বিশ্বে এইচআইভি চিকিৎসায় এই বিশেষ ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়া হতে পারে। তবে তার আগে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। গবেষণায় যদি ১০০ শতাংশ সাফল্য প্রমাণিত হয়, তাহলেই সারা বিশ্বে এই ইঞ্জেকশন প্রয়োগের অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।

কী দাবি নতুন গবেষণায়?

দক্ষিণ আফ্রিকার গবেষক লিন্ডা-গেইল বেকের জানিয়েছেন, তরুণীরা বছরে ২ বার প্রি-এক্সপোজার প্রফিল্যাক্সিস ড্রাগ ইঞ্জেকশন নিলে এইচআইভি সংক্রমণ থেকে পুরোপুরি সুরক্ষা পেতে পারেন। এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে, ৬ মাস অন্তর লেনাক্যাপাভির ইঞ্জেকশন নিলে অন্য যে কোনও ওষুধের চেয়ে বেশি সুরক্ষা পাওয়া যায়। ট্যাবলেটের চেয়ে ইঞ্জেকশন অনেক বেশি কার্যকরী। এখনও পর্যন্ত এইচআইভি-র চিকিৎসায় ৩টি প্রি-এক্সপোজার প্রফিল্যাক্সিস ড্রাগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। একটি ইঞ্জেকশনের পাশাপাশি ২টি পিল অনুমোদিত হয়েছে। তবে গবেষকদের দাবি, পিলের চেয়ে ইঞ্জেকশনে অনেক বেশি কাজ দেয়।

আফ্রিকায় এইচআইভি সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি

সরা বিশ্বেই এইচআইভি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লেও, সবচেয়ে ভয়াবহ আকার নিয়েছে আফ্রিকায়। এই কারণে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য আফ্রিকাকেই বেছে নেওয়া হয়েছে। উগান্ডার ৩টি জায়গা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ২৫টি জায়গায় ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হয়েছে। যোগ দিয়েছেন ৫,০০০ জন। তাঁদের শরীরে লেনাক্যাপাভির ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করা হয়েছে। ৬ মাস অন্তর এই ইঞ্জেকশন নিয়ে তাঁরা সুস্থ আছেন বলে দাবি গবেষকদের।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

আরও পড়ুন-

এইচআইভি পজিটিভ রাখি সাওয়ান্ত! কীভাবে সংক্রমিত হল এই রোগ? জানলে চোখ কপালে উঠবে

ফেসিয়াল করতে গিয়ে বিপত্তি! এইচআইভি আক্রান্ত হলেন তিন মহিলা, ঘটনা জানলে চোখ কপালে উঠবে

HIV: এইচআইভি-র চিকিৎসায় যুগান্তকারী সাফল্য, নতুন দিশা দেখাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা