সংক্ষিপ্ত
পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্টিডেন্ট রয়েছে। যা সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য় করে।
পেঁপে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। গবেণষায় দেখা গেছে পেঁটে প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে। পেঁপে শরীরকে অনেক মাকরাত্ম রোগের হাত থেকে বাঁচায়। নিয়মিত পেঁপে খেলে অনেক রোগ সেরে যায় বলেও জানিয়েছেন অনেক ডায়েটিশিয়ানদের। পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্টিডেন্ট রয়েছে। যা সংক্রমণ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য় করে। পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি ৯, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের একটি চমৎকার উৎস। এর সাথে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন কে এর মতো পুষ্টি উপাদান এতে পাওয়া যায়। পেঁপে পাকস্থলী ও পাচনতন্ত্রের জন্য উপকারী। ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। হাঁপানির মত দীর্ঘস্থায়ী রোগের চিকিৎসার জন্যও এটি উপকারি।
পেঁপে খাওয়ার উপকারিতাঃ
১. ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য পেঁপে খাওয়া একটি ভাল বিকল্প। গবেষণা অনুসারে, টাইপ-১ ডায়াবেটিস রোগীদের উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে পারে। পেঁপেতে রয়েছে ভালো পরিমাণে ফাইবার।
২. পেঁপে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। পেঁপেতে লাইকোপিন যৌগ পাওয়া যায়, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে। ক্যান্সার চিকিৎসাধীন রোগীদের জন্য পেঁপে খাওয়া উপকারী। এছাড়াও পেঁপেতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিটা ক্যারোটিন পাওয়া যায়। বিটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ তরুণদের প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
৩. মজবুত হাড়ের জন্য পেঁপে অত্যান্ত উপকারী। এটি ভিটামিন সি-এর ঘাটতি দূর করে। ভিটামিন সি-এর অভাবে হাড় ভাঙার ঝুঁকি বাড়ে। পেঁপেতে ভিটামিন কে আর ক্যালসিয়াম থাকে।
৪. বয়স সংক্রান্ত সমস্যা কমাতে পেঁপের জু়ড়়ি মেলা ভার। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সমাধান করে। পেট পরিষ্কার করে। পেটে ব্য়াথা কমাতে পেঁপে উপতাকী। ত্বক আর চোখ সুস্থ রাখতে পারে পেঁপে।
৫. হজম শক্তি বাড়াতে পেঁপে গুরুত্বপূর্ণ। ডায়েটে নিয়মিত পেঁপে রাখলে চর্বি কমে যায়। এতে প্যাপেইন নামক একটি এনজাইম প্রোটিন সহজে হজম করতে সাহায্য করে।
৬. চুলের স্বাস্থ্যের জন্য পেঁপে উপকারি। চুলের টিস্যু বাড়াতে পেঁপে খেতে পারেন। পেঁপেতে রয়েছে ভিটামিন এ ও ভিটামিন এ সিবাম উৎপাদনে জড়িয়ে এটি। এই জিনিসটি চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহয্য করে।
৭. ত্বককে সুস্থ রাখে পেঁপে। এতে ফ্রিব়্যাডিক্যাল রয়েছে। ক্ষতি প্রতিরোধে সহায়ক বলে মনে করে অনেকে। পেঁপে বলিরেখা পড়তে দেয় না।