সংক্ষিপ্ত
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য হারবাল চায়ের ক্ষতিকর দিকগুলি সম্পর্কে জানুন। ক্যামোমাইল, অ্যালোভেরা এবং মেথি চা কীভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা এবং ওষুধের সাথে বিপজ্জনক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, তার বৈজ্ঞানিক কারণ জেনে নিন।
স্বাস্থ্য ডেস্ক: ফিটনেস ফ্রিকদের ডায়েটে হারবাল চায়ের আলাদা স্থান। হারবাল চা ব্যবহার করলে স্বাস্থ্যের একাধিক উপকার হয়। অ্যালোভেরা চা, ক্যামোমাইল চায়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহরোধী উপাদান থাকে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ফ্রি র্যাডিকেলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এর ফলে অনেক রোগ দূর হয়। প্রদাহরোধী উপাদান শরীরের প্রদাহ দূর করে। আপনার জেনে অবাক লাগবে যে ডায়াবেটিসের ওষুধ সেবনকারীদের জন্য হারবাল চা ক্ষতিকর হতে পারে। আসুন জেনে নেই ডায়াবেটিস রোগীদের কোন হারবাল চা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
ডায়াবেটিসে ক্যামোমাইল চা ক্ষতিকর
ওয়ারফারিন নামক ডায়াবেটিস ওষুধ ক্যামোমাইলের সাথে বিপজ্জনকভাবে বিক্রিয়া করতে পারে। এর ফলে রক্ত পাতলা হতে পারে এবং রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যদি আপনি ডায়াবেটিসের ওষুধ সেবন না করেন তবে নিশ্চিন্তে ক্যামোমাইল হারবাল চা উপভোগ করতে পারেন।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অ্যালোভেরা চায়ের ক্ষতি
অ্যালোভেরা একটি ভেষজ উদ্ভিদ যা চুল এবং ত্বকের জন্য খুব ভালো বলে বিবেচিত হয়। অনেকেই অ্যালোভেরা হারবাল চা ব্যবহার করেন। গবেষণায় দেখা গেছে যে অ্যালোভেরা সেবন করলে রক্তে শর্করার মাত্রার উপর খারাপ প্রভাব পড়ে। যদি ডায়াবেটিসের ওষুধ খাওয়া রোগী অ্যালোভেরা চা পান করেন তবে তার পরে হাইপোগ্লাইসেমিক অবস্থা দেখা দিতে পারে। যদি আপনি ডায়াবেটিস রোগী হন তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অ্যালোভেরা চা সেবন করবেন না।
মেথি চায়ের ক্ষতি
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে মেথি সেবন খুব ভালো বলে বিবেচিত হয়। মেথির বীজ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও উন্নত করে। তবে ওষুধ সেবনকারী ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মেথি নিরাপদ নয়। মেথি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায় এবং হাইপোগ্লাইসেমিক অবস্থার ঝুঁকি থাকে। ডায়াবেটিস রোগীর ওষুধের সাথেও মেথির বিক্রিয়া হয় যা রোগীর জন্য ক্ষতিকর।