একটি নতুন নরওয়েজিয়ান গবেষণা অনুসারে, ঘুমানোর আগে এক ঘণ্টা স্ক্রিন টাইম অনিদ্রার ঝুঁকি ৫৯% বাড়িয়ে দেয়। ঘুমের এই অভাব হার্টের স্বাস্থ্য, স্থূলতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর গভীর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

বাইরের কাজকর্ম থেকে শুরু করে অবসর সময়, সবকিছুর জায়গা এখন মোবাইল বা অনলাইন স্ক্রিন নিয়ে নিয়েছে। এর ফলে শুধু ক্লান্তিই বাড়ে না, শরীরে নানা রোগও বাসা বাঁধছে। নতুন একটি নরওয়েজিয়ান গবেষণায় দেখা গেছে যে ঘুমানোর আগে এক ঘণ্টা স্ক্রিন টাইম কাটালে অনিদ্রার ঝুঁকি ৫৯% বেড়ে যায় এবং ঘুম ২৪ মিনিট কমে আসে। বৈজ্ঞানিক গবেষণা এবং পরিসংখ্যান থেকে জানা যায় যে ডিজিটাল জীবনযাত্রা এবং ঘুমের অভাব স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলছে।

ঘুমের অভাবে যেসব সমস্যা হয়

ঘুমের মাধ্যমে শরীরের প্রয়োজনীয় মেরামত, স্মৃতিশক্তি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। যখন শরীর পর্যাপ্ত ঘুম পায় না, তখন স্বাস্থ্য ঝুঁকিও বাড়ে। PubMed +1 অনুসারে, শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে এর প্রভাব হার্টের স্বাস্থ্য, স্থূলতা এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর দেখা যায়।

রাতে স্ক্রিন টাইম শুধু ঘুমের উপরই প্রভাব ফেলে না, বরং শারীরিক কার্যকলাপের অভাব, গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকা এবং অনিয়মিত ঘুমের সময়ের কারণেও সমস্যা তৈরি হতে শুরু করে। কম ঘুম এবং দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিন টাইমের কারণে ঘুমের মান কমে যায়, ঘুম হালকা হয়ে যায়, যার ফলে শরীর ঠিকমতো বিশ্রাম পায় না।

ঘুমের অভাবে মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব

অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম ডিপ্রেশন, উদ্বেগ এবং আচরণগত জটিলতার সাথে যুক্ত। এর ফলে মায়ের গর্ভে থাকা শিশুর মেটাবলিক সিনড্রোমের ঝুঁকি বাড়তে পারে।

কীভাবে স্ক্রিন টাইম কমাবেন?

আজকের জীবনধারা ইলেকট্রনিক ডিভাইস ছাড়া সম্ভব নয়, তবে এর ব্যবহার সীমিত করা যেতে পারে। স্ক্রিন টাইম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে নিন। ঘুমানোর ১ ঘণ্টা আগে মোবাইল দেখা বন্ধ করুন। অবসর সময়ে মোবাইলকে বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজনে কেবল স্ক্রিনে সময় কাটান। ছোট ছোট পরিবর্তনও স্বাস্থ্যের জন্য বড় উপকার বয়ে আনতে পারে। এইভাবে আপনি ভালো ঘুমাতে পারবেন এবং স্ক্রিনে প্রয়োজনীয় কাজও সেরে নিতে পারবেন।