সংক্ষিপ্ত
অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন কিংবা ভুল ডায়েটের কারণে অনেকেই প্রেশার হাই হওয়ার সমস্যায় ভোগেন। অনেকে আবার দুশ্চিন্তা, অপর্যাপ্ত ঘুম ও বংশগতির কারণেও এই সমস্যার ভুক্তভোগী হন। ঘাবড়ে না গিয়ে বাড়িতেই নিতে পারেন কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
উচ্চ রক্তচাপকে বলা হয় শরীরের নীরব ঘাতক। উচ্চমাত্রার রক্তচাপই শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধার মূল কারণ। হঠাৎ বেড়ে যাওয়া রক্তচাপ অনেক সময় মানুষের প্রাণও কেড়ে নেয়।
হাই প্রেশার বা হাইপারটেনশন কী?
চিকিৎসা শাস্ত্র অনুযায়ী, মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ হলো ১২০/৮০ মিলিমিটার পারদের চাপ। সাধারণত রক্তচাপ যদি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে, তাহলে তাকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বলা হয়।
অর্থাৎ রক্তচাপ যখন ১৪০/৯০ মিলিমিটার পারদ চাপের বেশি হয়, তখন ওই অবস্থাই হলো উচ্চ রক্তচাপ। উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনকে অনেক সময় অনেকেই ‘প্রেশার’ হিসেবে অভিহিত করেন।
লক্ষণসমূহ
প্রেশার হাই হলে আপনার মধ্যে তাৎক্ষণিক কিছু শারীরিক জটিলতা দেখা দেবে। যেমন: মাথা ঘোরা, মাথা ব্যথা, ক্লান্তি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব, বুক ধড়ফড় করা, অবসাদ, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা, স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অসুবিধা ইত্যাদি।
কেন এমন হয়?
অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন কিংবা ভুল ডায়েটের কারণে অনেকেই প্রেশার হাই হওয়ার সমস্যায় ভোগেন। অনেকে আবার দুশ্চিন্তা, অপর্যাপ্ত ঘুম ও বংশগতির কারণেও এই সমস্যার ভুক্তভোগী হন। ঘাবড়ে না গিয়ে বাড়িতেই নিতে পারেন কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।
প্রেশার হঠাৎ হাই হলে দ্রুত ঘরে যা করবেন
১. হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে শারীরিক কাজকর্ম কমিয়ে দিন। শান্ত থাকুন। আরামদায়ক স্থানে বসুন বা শুয়ে বিশ্রাম নিন। এগুলি রক্তের চাপ কমতে সাহায্য করবে।
২. রক্তের চাপ কমাতে হলে, খেতে পারেন তেঁতুলের রস। তেঁতুলের রসের পরিবর্তে খেতে পারেন লেবুর জলও।
৩. দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় আদা রাখুন। আদা একটি সুপারফুড। এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও পেশি শিথিল করে।
৪. রক্তচাপ বেড়ে গেলে প্রক্রিয়াজাত বা তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। চর্বিযুক্ত খাবার, অতিরিক্ত নুন খেলে বা ধূমপান করলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে।
৫. চিনি, তেল, ঘি, মাখন, নুন ও রেডমিট একেবারেই খাওয়া যাবে না।
৬. সারাদিন ধরে পর্যাপ্ত জল পান করুন। শরীরে সঠিক হাইড্রেশন বজায় থাকলে রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক থাকে।
৭. দ্রুত রক্তচাপ কমাতে পটাশিয়াম যুক্ত খাবার খান। এজন্য ডায়েটে রাখুন পটাশিয়াম যুক্ত ফল (যেমন কলা, তরমুজ, ফুটি বা খরমুজ, কিসমিস, কমলালেবু, কিউয়ি), টক দই।
৮. শরীরে ওজন বেশি থাকলে অবশ্যই তা ধীরে ধীরে কমিয়ে আনার ওপর জোর দিন।
-
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।