বাতাসে থাকা সালফার ডাই অক্সাইড ও নাইট্রোজেন অক্সাইডের মতো গ্যাস চোখের জলস্তরকে নষ্ট করে দেয়। এতে চোখ জ্বালা করা, অনবরত জল পড়া এবং চোখ লাল হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। দূষণ থেকে চোখকে কিভাবে রক্ষা করবেন এবং যত্ন নেবেন জানুন কিছু পদ্ধতি।

দূষনে কমচ্ছে অশ্রু উৎপাদন আর এতেই চোখের ক্ষতির ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। তাই সতর্ক থাকতে ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক ও চশমা পরুন, প্রচুর জল পান করুন,Omega-3 সমৃদ্ধ খাবার খান, স্ক্রিন টাইম কমান এবং চোখ ঘষা থেকে বিরত থাকুন। সমস্যা থাকলে অবশ্যই চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন, কারণ ধুলোবালি ও রাসায়নিক পদার্থ চোখে জ্বালা, শুষ্কতা, লাল ভাব ও অ্যালার্জি ঘটাতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে দৃষ্টিশক্তির ক্ষতি করে।

*দূষণের কারণে চোখের সমস্যা*:

শুষ্কতা ও জ্বালা: বাতাসের ধূলিকণা ও দূষণ অশ্রুর স্বাভাবিক স্তরকে দুর্বল করে দেয়, ফলে চোখ শুকিয়ে যায় ও জ্বালা করে।

লালচে ভাব ও জল পড়া: Pollutants সরাসরি চোখের সংযোগস্থলকে (conjunctiva) উত্তেজিত করে, যার ফলে চোখ লাল হয়ে যায় এবং জল পড়তে থাকে।

অ্যালার্জিক কনজাংটিভাইটিস: ধুলো ও অ্যালার্জেন চোখের অ্যালার্জির কারণ হয়, যা চুলকানি ও ফোলাভাব সৃষ্টি করে।

সংক্রমণের ঝুঁকি: দূষণ চোখের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, ফলে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, বিশেষ করে কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহারকারীদের জন্য।

দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি: দীর্ঘস্থায়ী দূষণের প্রভাবে রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং অন্যান্য চোখের রোগ হতে পারে।

*সতর্ক থাকার উপায়*:

ঘরের বাইরে গেলে সুরক্ষা:

চশমা ব্যবহার: ধুলোবালি ও দূষণ থেকে চোখ বাঁচাতে সাধারণ চশমা বা সানগ্লাস পরুন (কন্টাক্ট লেন্স এড়িয়ে চলুন)।

মাস্ক ব্যবহার: মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করুন, যা চোখের সুরক্ষাও দেবে কিছুটা।

বাড়ির ভেতরে থাকুন: যখন বায়ু দূষণের মাত্রা খুব বেশি থাকে, তখন ঘরের বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন, বিশেষত সকালে।

চোখের যত্ন:

হাত ধোয়া ও চোখ না ছোঁয়া: ঘন ঘন হাত ধুয়ে নিন এবং চোখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।

চোখ ঘষা থেকে বিরত থাকুন: চোখে অস্বস্তি হলে ঘষবেন না, এতে ক্ষতি বাড়ে।

কৃত্রিম অশ্রু (Lubricating Eye Drops): চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে লুব্রিকেটিং আই ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন।

*জীবনযাত্রায় পরিবর্তন*:

পর্যাপ্ত জল পান: শরীরকে আর্দ্র রাখা অশ্রু উৎপাদনে সাহায্য করে।

স্বাস্থ্যকর খাবার: ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড, সবুজ শাক-সবজি, বাদাম, মাছ ইত্যাদি চোখের জন্য উপকারী।

স্ক্রিন টাইম কমানো: মোবাইল, ল্যাপটপের ব্যবহার কমিয়ে চোখের বিশ্রাম দিন।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: ঘরোয়া পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন এবং এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন।

চিকিৎসকের পরামর্শ: যদি চোখে জ্বালা, ব্যথা, ঝাপসা দেখা বা অন্য কোনো সমস্যা persists করে, তবে দেরি না করে চক্ষু বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করুন।